হস্তমৈথুন এর সুফল ও কুফল : হস্তমৈথুনের পরিণতি কি হতে পারে?

PaGoaL
By -
0

হস্তমৈথুন এর সুফল ও কুফল : হস্তমৈথুনের পরিণতি কি হতে পারে?

PaGoaL - The Super Psychological Master Mind

প্রারম্ভিকতা

আমরা সবাই জানি হস্তমৈথুন কি তবুও কাউকে জিজ্ঞাসা করলে আমরা লজ্জা আর সংকোচে এর উত্তর দিতে দ্বিধাবোধ করি অথচ হস্তমৈথুন একটি সহজাত বিষয় মাত্র যা সুস্থ যৌনচার অন্যতম পরিচায়ক বটে - তবে সুস্থ হলেই তা স্বভাবিক এমন নয় বরং সাইকোলজিক্যালি তা আপেক্ষিক। 

            

                      গোপনীয়: এগিয়ে যান


হস্তমৈথুন কি?

হস্তমৈথুন শব্দের প্রতিশব্দ স্বমেহন অর্থাৎ নিজে নিজে নিজেকে যৌনভাবে উত্তেজিত করে শারীরিক বাসনা পূরণের প্রয়াস মাত্র। সাধারণভাবে একটি ছেলে ও মেয়ের যখন ১২-১৩ বছর বয়সে তারা বয়ঃসন্ধিতে উপনীত হয় [এটাও আপেক্ষিক কেননা অনেক ছেলে মেয়ে ১২/১৩ বছরের পূর্বেই বয়ঃসন্ধি'তে উপণীত হয় কেউবা তার পরেও উপণীত হতে পারে; আবার মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক সময় ১২/১৩ বছরের পূর্বেই বয়ঃসন্ধি উপস্থিত হতে দেখা যায় - অপরাপর সামাজিকতার বদলে আজকাল ছেলে মেয়েরা অপেক্ষাকৃত দ্রুত কিশোর - কিশোরীতে উত্তীর্ণ হয় বলে মনে হয়] তখন তাদের দেহমনে আশ্চর্য পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় যা মূলত তাদের পূর্ণাঙ্গ পুরুষ ও নারী হওয়ার প্রাথমিক প্রারম্ভিকতা মাত্র; ঐ সময়ে তাদের যৌন জীবনের শুরুতে নিজেদের নিয়ে খেলার মাঝে অদ্ভূত এক অনুভূতি প্রাপ্ত হয়; এটিই পরবর্তীকালে তাদের হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত করে [তবে এমনটা নয় যে হস্তমৈথুন তাদের ইচ্ছাকৃত করা কোন আন্যায় বরং এটা প্রাকৃতিক একটি বিষয় মাত্র - মানুষ ছাড়াও এই হস্তমৈথুন অন্যান্য ম্যামের প্রাণীদেরও করতে দেখা যায় তাই বিবর্তনীয় ধারণাতে জীবকুলে এটি খুবই সাধারণ একটি ফ্যাক্ট, অন্তত পাপ বা অন্যায় তো নয়ই]!

হস্তমৈথুন কেন?

হস্তমৈথুন মানেই যে হাত দিয়ে সুখ লাভ এমনটা নয় বরং সেটা বিভিন্নভাবে অর্গাজম এর আনন্দ লাভ হতে পারে, পশ্চিমা দেশে Sex Toys পাওয়া যায় যা দিয়ে তারা যৌনানন্দ লাভের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। 

ফিজিক্যালি আপনি যদি স্বমেহন না করেন তবুও কিন্ত শরীর আপনার দেহ হতে উৎপন্ন বীর্য (ছেলের ক্ষেত্রে) বাইরে বের করে দিবে যাকে স্বপ্নদোষ বলা হয় [আদতে স্বপ্নদোষ নিশ্চয়ই স্বপ্নের দোষ নয়]। 

হস্তমৈথুন কি অভ্যাস?

হ্যা, হস্তমৈথুন একটি অভ্যাস বটে কেননা হস্তমৈথুনে অভ্যস্থ হলে কদাচিৎ পরিলক্ষিত হয় যে বিবাহিত জীবন বা প্রাকৃতিক যৌনাচার যেমন সঙ্গম ছাড়াও তাদের নিকট হস্তমৈথুনে পরম সুখ লাভ করে বলে মনে হয়; তথাপি অনেকে বিবাহিত জীবনেও হস্তমৈথুন করে থাকেন বটে। 

এখন হস্তমৈথুন অভ্যাস হলেই যে সেটা ক্ষতিকারক হবে এমনটা নয় কিন্তু বরং আমাদের নিত্য আচরণ যেমন খাবার গ্রহণ, বিশ্রাম, আনন্দ উদযাপনে আকাঙ্খা প্রভৃতি সহজাত অভ্যাসের মতোই মানুষের জন্য হস্তমৈথুন একটি সহজাত বিষয়; তবে সাইকোলজিক্যালি আপনি এই বিষয়টাকে কেমন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন সেটাই বিবেচ্য!

হস্তমৈথুন সম্পর্কে বিজ্ঞান কি বলে?

হস্তমৈথুন একটি সহাজাত স্বভাবিক মানবীয় যৌন ক্রিয়া - যা একদমই ক্ষতিকর তো নয়ই বরং তা মানুষের জন্য উপকারী বটে কেননা তাতে মস্তিষ্কে যে ডোপামিন হরমোনের নিঃস্বরণ ঘটায় তা ইফেক্টিভ; অপরাপর বিবাহিত যৌন জীবন অর্থাৎ সঙ্গীর সহিত সঙ্গমে কোনরূপ সমস্যা বা সময়ের বিচ্যুতি করে না; তবে অবশ্যই একটি সীমারেখা থাকা উচিত [এই যেমন ভাত খাওয়া ক্ষুধা পূরণের জন্য কর্তব্য হলেও একাটানা আমরা যদি শুধু ভাত খেতেই থাকি তবে তা নিশ্চয়ই মঙ্গলজনক কিছু হবে না]!

হস্তমৈথুনের সুফল!

বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ হতে হস্তমৈথুন যেহেতুু সহজাত স্বভাবিক বিষয় সুতরাং তাতে বিবাহিত বা অবিবাহিত জীবনে শারিরীক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বরং ডোপামিন হরমোন নিঃস্বনে যে আনন্দ অনুভূতি লাভ হয় তা হয়ে নিজেকে বঞ্চিত করা একরূপ অন্যায় বলা চলে; এছাড়াও সাইকোলজিক্যালি হস্তমৈথুনের সময় আপনার যে কল্পনাশক্তি ক্রিয়াশীলতা [মনের ভাবনা শরীরের ওপর প্রতিক্রিয়াশীল] তা পরিস্ফুটিত চলন ঘটে - সুতরাং মানসিকভাবে কল্পনার বিকাশ এবং উন্মুক্ত ভাবধারা বিস্তৃত হয়।

এছাড়াও হস্তমৈথুন বেশ কিছু সমাজিক অপকর্ম যেমন ইভটিজিং, ধর্ষণ, শিশুকামী যৌন নির্যাতন প্রভৃতি মানসিক বিকারগ্রস্ততা হতে রিলিফ দেয় বলে ধারণা করা হয় [যেহেতু হস্তমৈথুনের ফলে অর্গাজম লাভে তা অবদমিত হয়] এছাড়াও বহুগামী মানসিকতা এবং সমকামীতা [সমকামিতাও একটি স্বভাবিক ফ্যাক্ট] যা কিনা আপেক্ষিক সামাজিকতার প্রতিবন্ধকতা তার উপায়ান্তর ঘটিয়ে থাকে।

হস্তমৈথুনের কুফল!

হস্তমৈথুনের কিছু কুফল আছে যা কিনা নিয়ত অতিরিক্ত সীমাতে আপনাকে স্বাভাবিক যৌনাচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে; এছাড়াও হস্তমৈথুনের পর উন্নত খাবার গ্রহণ না করায় হয়তো তা শরীরিকভাবে সাময়িক কিছুটা দূর্বলত তৈরী করতে পারে বটে; তদুপরি হস্তমৈথুনে পর্ণোগ্রাফির একটি বিশেষ আনূকল্যতা থাকে যা সামাজিকতায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে সক্ষম - অপরপক্ষে ঐ একই বিরূপতা সময়কে ইভটিজিং বা শিশুকামীতাকে উস্কেও দিতে পারে বটে [রিভার্স থিংকিং]; অন্যদিকে হস্তমৈথুনের প্রতি নেগেটিভ মানসিকতায় তা আপনাকে সর্বদাই তটস্থ বা নিজের প্রতি নিজের ঘৃণাভাব জাগ্রত করে যা আত্মহীনতায় ভোগায় কারণ যদিওবা তা নিতান্তপক্ষে ভ্রান্ত ধারণা হয়ে আরকি!

হস্তমৈথুনের ফলে যদি কেউ মানসিকভাবে তটস্থ বা আত্মহীনতায় ভুগে তবে বিবাহিত জীবনে সঙ্গীর প্রতি কমিটমেন্ট রক্ষায় অন্তরায় হতে পারে - যেহেতু তা ট্যাবু হিসেবে সমাজিকভাবে গণ্য করা হয়! সর্বোপরি হস্তমৈথুনের প্রত্যক্ষ অপকার না থাকলেও সাইকোলজিক্যালি [ভ্রান্ত ধারণা ও বিশ্বাসের দরূণ] পরোক্ষ ক্ষতিকার প্রভাব বিদ্যমান!

হস্তমৈথুন হতে পরিত্রাণের উপায়?!

পূর্বেই বলা হয়েছে হস্তমৈথুন একটি স্বাভাবিক যৌনক্রিয়া তবে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন হতে রিলিফ পেতে [যদি তা আপনার নিত্য জীবনে ক্ষতির কারণ হয়] আপনি মেডিটেশান করতে পারেন এবং পর্ণোগ্রাফি হতে যথাসম্ভব দূরে থাকতে পারেন। এছাড়াও কর্মব্যস্ততা এবং অবসর আনন্দে আড্ডা দেওয়া বা মুভি দেখা কিংবা পারিবারিক সময় দেওয়া হতে পারে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন হতে নিজেকে আড়াল করার মোক্ষদা উপায়।

উপসংহার

হস্তমৈথুন কোন পাপ নয় নয়তো অন্যায় আর না তো ক্ষতিকর - যদি আপনি সাইকোলজিক্যালি নিজেকে বোঝান "এটা স্বাভাবিক" তবে এটা আনন্দ লাভের একটি ব্যায়াম মাত্র!

তদুপরি মাত্রাতিরিক্ততা হতে বাঁচতে আপনার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে মানসিক শক্তিই যথেষ্ট বটে!

বিঃদ্রঃ সম্পূর্ণ লেখাটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ হতে বিজ্ঞানভিত্তিক মানসিকতার সহিত সাইকোলজিক্যাল ধ্যাণ ধারণা হতে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য নিরন্তর শুভকামনা রইলো ও ভালোবাসা রইলো।

#Query_Keyword : Analysis

Tags:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)