মনোবিজ্ঞান : মনোবিজ্ঞান শিখে হয়ে উঠুন সুপার হিউম্যান!

PaGoaL
By -
0

মনোবিজ্ঞান : মনোবিজ্ঞান শিখে হয়ে উঠুন সুপার হিউম্যান!

PaGoaL - The Super Psychological Master Mind

প্রারম্ভিকতা

PaGoaL মনস্তত্ত্ববিদ্যা তথা মনোবিজ্ঞানের বিভিন্ন ফ্যাক্ট এবং সাবজেক্ট (বিষয়বস্তু) আলোচনাপূর্বক মানব জীবন'কে আরও সহজ - সুন্দর ও সাবলীলতায় সফলকাম করতে আজকের এই আর্টিকেলটি নিবেদিত হলো - যা আপনাকে (রূপকভাবে) একরূপ সুপার হিউম্যান হতে সহায়তা করবে!


মনোবিজ্ঞান : মনোবিজ্ঞান শিখে হয়ে উঠুন সুপার হিউম্যান!


তাহলে আসুন যাত্রা শুরু করা যাক.....

পটভূমি

"মানুষ" যদি সৃষ্টিগত (বিবর্তিত'ভাবে) একটি Super Computer হয় তবে মানুষের Brain হলো সেই সুপার কম্পিউটারের একটি জীবন্ত জৈবিক CPU (Central Processing Unit); যেখানে তার মেধা ও মননশক্তি, বিচার-বিশ্লেষন সক্ষমতা, যুক্তি ও বিবেক, আবেগ-উত্তেজনা, কল্পনা ও স্বপ্ন তদুপরি সামগ্রিক যাবতীয় মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলি সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত হয়।

মূলত এই Brain হতেই যাবতীয় সিগন্যাল নির্দেশক স্বরূপ Command আকারে আমাদের শরীরে ফিজিক্যালি প্রেরিত হয়; পক্ষান্তরে আমাদের শারীরিক ইন্দ্রিয় হতেও বিভিন্ন বাহ্যিক সিগন্যাল ব্রেইনে পৌছে Analysed হয় - সুতরাং বলা যায় যে হিউম্যান ব্রেইন একইসাথে Dispatcher (প্রেরণকারী) এবং Recipient (গ্রহণকারী) Biological Device হিসেবে কাজ করে। আমরা প্রতিনিয়ত যেসকল কাজকর্ম করি, মনে মনে চিন্তা-ভাবনা করি কিংবা কল্পনার মাঝে আপন সংকল্প সাজাই; সেই সমস্তকিছুই কিন্তু আদতে আমাদের Brain এক্টিভিটির বহিঃপ্রকাশ মাত্র! ভোরবেলা ঘুম হতে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমানো অবধি এমনকি ঘুমের ভেতর স্বপ্ন দেখা পর্যন্ত- সবকিছুই আমাদের Brain কর্তৃক স্বতস্ফূর্তভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এক কথায় বলা চলে "আমাদের গোটা জীবনটাই আসলে Brain কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক জীবন্ত জৈবিক প্রোগ্রামিং সিস্টেম মাত্র!"

মূলত মানব মনের বিভিন্ন ইচ্ছা (Wish) ও স্বপ্ন (Dream তথা Goal) হলো মানব মস্তিষ্কের কনশিয়াস মাইন্ড (সচেতন মন) এবং সাব-কনশিয়াস মাইন্ড (অবচেতন মন) এর জটিল সাইকোলজিক্যাল মিথস্ক্রিয়া। মানুষ চাইলেই যুক্তি (Logic) এর মাধ্যমে তার কনশিয়াস মাইন্ড'কে পরিচালিত করতে পারে; অপরদিকে বিশ্বাস (Belief/Faith), আবেগ-অনুভূতি (Emotion) এবং সাজেশন (Hypnosis এর ভাষায় এটাকে Command নামেও অভিহিত করা হয়) এর মাধ্যমে সাব-কনশিয়াস মাইন্ড'কে আপাত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব; সুতরাং Neuro+ বিশ্বাস করে যে "আপনি যদি আপনার Brain কে সঠিকভাবে Psychologically আপনার Wish/Dream অনুযায়ী Programmatically পরিচালিত করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনি আপনার লাইফের সকল Deserved আশা-প্রত্যাশা-ইচ্ছা-স্বপ্ন এবং সংকল্প সফলভাবে পূরণ করতে সক্ষম হবেন"।

আপনার জীবনের Dream সমূহ Definite করা শিখুন

Definite Your Dream

সবার আগে আপনাকে আপনার মনের ইচ্ছা ও স্বপ্নগুলোকে স্পষ্টভাবে Definite (সুনির্দিষ্ট) করতে হবে [সচরাচর আমাদের মনের নিত্য Wishes/Dreams সমূহ সময়-পরিস্থিতি ও পরিবেশের স্বাপেক্ষে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয় তাই এমতাবস্থায় আমাদের Brain কখনোই একটি নির্দিষ্ট কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণে পরিপূর্ণভাবে Focused এবং Concentrated হতে পারে না, সুতরাং সর্বাগ্রে আমাদের মনের Dream-কে Definite করা কর্তব্য]।

Method

Let's Find A Way...আপনি আপনার মনের সকল আশা-প্রত্যাশা-ইচ্ছা-স্বপ্ন-সংকল্প প্রভৃতি একটি সাদা কাগজে লিখে ফেলুন [এমনভাবে লিখবেন যেন আপনি আপনার মনের সকল প্রকাশিত/লুক্কায়িত উইশ'সমূহ উক্ত লেখনীর মাধ্যমে উগড়ে দিচ্ছেন- যার ফলে আপনি নিজেকে মানসিকভাবে হালকা অনুভব করবেন এবং এক প্রকার সূক্ষ সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশন ফিল হবে] >>> এবার উক্ত সকল Draft উইশ'সমূহের মাঝে একটি সেতুবন্ধন (Bridge) তৈরী করুন এবং আপনি আপনার Root Dream-টি নির্বাচন করুন [অসংখ্য Wishes-কে Bridge এর মাধ্যমে মেলবন্ধন ঘটিয়ে কেবলমাত্র একটি Root Dream নির্বাচন করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন যে Star এমন উইশ/স্বপ্ন বাছাই করতে হবে যেটা পূরণ হলে অন্যান্য আর সকল উইশ'সমূহ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেন পূরণ হয়ে যায় Star অসংখ্য উইশ'সমূহের মাঝে আপনাকে একটু Hardly নিজের ইমোশনকে উপেক্ষা করে Realistic স্বপ্ন'গুলোকে অধিক প্রায়োরিটি দিতে হবে; তবে এটার মানে সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের তীব্র আকাঙ্খা'কে মোটেই Neglect করা নয় বরং সাব-কনশিয়াস মাইন্ড ও কনশিয়াস মাইন্ডের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমেই আপনি আপনার কাঙ্খিত স্বপ্ন'কে সুনির্দিষ্ট করবেন। মনে রাখবেন আপনার জীবনের স্বপ্ন পূরণে সফলতা আনায়নে ঐ সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের গুরুত্ব'ই কিন্তু সর্বাধিক Star সর্বোপরি মানব মনের বিচিত্র সকল ইচ্ছা'সমূহের মাঝে সেই Wish/Dream-টি নির্বাচন করবেন যা আপনার সামগ্রিক জীবনের জন্য অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে] >>> Root Dream নির্বাচনের পর আপনি নিজেই নিজের আত্নমূল্যায়ন করুন:- আপনি আপনার সিলেক্টেড Root Dream টি নিয়ে মানসিকভাবে সম্পূর্ণ Satisfied কিনা? আপনার মনের মাঝে নূন্যতম কোনরূপ Hesitation অনুভব করছেন না তো? যদি Satisfaction অনুভব না করেন অথবা সামান্যতম Hesitation ফিল করেন তবে আবারও পূর্বোক্ত Contemplation ধারায় ফিরে যান এবং উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী আরও অধিক শুদ্ধরূপে আপনার Root Drem টি Definite করুন [বলা বাহুল্য যে আপনার Root Dream টি এমন হতে হবে যেন তাতে আপনার মনে নূন্যতম সংশয় বা সন্দিগ্ধতা না থাকে বরং স্বাধীনভাবে নিজের অবচেতন মনের তাড়নায় সচেতনভাবে বাস্তবতার স্বাপেক্ষে সন্তুষ্ঠচিত্তে গৃহিত "স্বপ্ন" যা আপনার সংকল্পকে দৃঢ়তার সহিত সফলতায় অবতীর্ণ হওয়ার প্রয়াস পাবে]।

Dream Management এর মাধ্যমে আপনার জীবনের স্বপ্ন পরিকল্পনা সাজিয়ে নিন!

Dream Management

আপনার Definite হওয়া Root Dream টি Successful করার জন্য আপনার কনশিয়াস মাইন্ডের সাহায্যে Dream Management করতে হবে

আসুন সবার আগে সর্ব প্রকার স্বপ্ন পূরণ সফল হয় এমন একটি সার্বজনীন Dream Diagram তৈরী করি:-

Dream Diagram

সর্বাগ্রে আপনার অবস্থা-অবস্থান, পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিকতার স্বাপেক্ষে আপনার Root Dream-টি সফল করতে সম্ভাব্য সকল পন্থাগুলো ধীর-স্থিরচিত্তে আপন মনে ভেবে নিন; এই কাজটা আপনার বুদ্ধিমত্তা তথা Intelligence Power ব্যবহার করে করতে হবে >>> এবার আপনার আবিষ্কার করা পন্থাগুলো ধাপে ধাপে সাজিয়ে একটি Master Sequence তৈরী করুন [Master Sequence হলো এমন একটি কর্ম পরিকল্পনা যেখানে আপনার স্বপ্ন'কে সফলতায় রূপ দিতে আপনি সর্বোচ্চ সম্ভাব্য সকল প্রকারের প্ল্যানিং (নীল নকশা) আঁকবেন; যেখানে একটি প্ল্যান ব্যর্থ হলে আপনি পূর্ব হতেই এক বা একাধিক Backup প্ল্যান তৈরী করে রাখবেন; তদুপরি আপনার স্বপ্ন পূরণে যতোক্ষণ না অবধি আপনি সফল হচ্ছেন ততোক্ষন পর্যন্ত পূর্বের Fail হওয়া প্ল্যান হতে প্রাপ্ত Knowledge, Wit, Dexterity, Trick এবং Experience নতুন Backup প্ল্যানে Apply করে আরও উৎকর্ষপূর্ণ প্ল্যান Re-Build করবেন] >>> Master Sequence অনুযায়ী Root Dream পূরণে আপনি যেসকল পদক্ষেপ নিবেন তাতে আপনাকে সর্বদাই Calculative হতে হবে যেমন গাণিতিক নিয়ম (Mathematic Law) অনুযায়ী সবসময়'ই 3+6=9 হয় তেমনি আপনাকেও কনশিয়াস মাইন্ড-এ সচেতন চিত্তে সতর্কতার সহিত যুক্তিবাদী মানসিকতা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। যেকোন ঘটনা/ব্যাপার'কে সর্বদাই "কি?" , "কেন?" এবং "কিভাবে?" দ্বারা জিজ্ঞাসিত করবেন তাহলে খুব সহজেই আপনি Master Sequence এপ্লাই করার ক্ষেত্র বা প্রেক্ষাপট তৈরী করতে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত (Information & Data) পেয়ে যাবেন।

জীবন চলার পথে পথেয় স্বরূপ কিছু মনোবিজ্ঞান  এর Moral Lesson শিখে নিন!

Moral Lesson

★ পজেটিভ হউন [স্বপ্ন পূরণে আপনাকে সর্বদাই Positive Minded হতে হবে। হয়তো অনেক সময় মনের মাঝে বিভিন্ন নেগেটিভ ইনটেনশনের উদয় হবে সেইসব আপনাকে দৃঢ়ভাবে ইগনোর করতে হবে]।

★আত্মবিশ্বাসী হউন [আপনার মন'কে বিশ্বাস করাতে হবে যে "অবশ্যই আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে Capable" তাতে হয়তো অনেক সময় আপনার কনশিয়াস মাইন্ড আপনাকে বাস্তবতার স্বাপেক্ষে যুক্তি-তর্কে নিস্প্রভ করার চেষ্টা করবে কিন্তু আপনি আপনার সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে প্রতিনিয়ত নিজেকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করবেন]।

★ আশাবাদী হউন [আপনার স্বপ্ন পূরণে নিজেকে আশাবাদী করুন; "আশাহত প্রাণ মৃত্যুর সমান" তাই কখনোই আশাহত হয়ে হাল ছেড়ে দিবেন না]

★ বুদ্ধির ব্যবহার করুন [আপনার মস্তিষ্কে যে জ্ঞান তথা Knowledge আছে সেটাকে বুদ্ধি'তে অর্থাৎ Intelligence-এ কনভার্ট করুন। মনে রাখবেন "আপনার সামনে যতোই সমস্যা আসুক না কেন সেই সমস্যাটিকে সুযোগ/Chance হিসেবে বিবেচনা করে বুদ্ধির মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করবেন]।

★ ধৈর্য ধারণ করুন [স্বপ্ন পূরণে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে। হয়তো আপনার মনে হবে ধৈর্য মনে শুধুই সময়ের অপচয় কিন্তু সত্যিকার অর্থে "ধৈর্য হলো সময়ের সাথে পরিস্থিতির পরিবর্তনে নিজের অবস্থান পরিবর্তনের প্রচেষ্টা মাত্র"]।

★ অধ্যবসায়ী হউন [স্বপ্ন পূরণে নিজেকে একাগ্র এবং নিষ্ঠাবান করে গড়ে তুলুন। সর্বদাই প্রতিটি ক্ষণ স্বপ্ন পূরণে Focused এবং Concentrated থাকুন]।

★ No Tension Do Thinking [দুঃশ্চিন্তা কখনোই আপনার স্বপ্ন পূরণে সহায়ক কিংবা সমস্যার সমাধান এনে দিতে পারে না; অপরাপর মস্তিষ্কও যেহেতু কখনো চিন্তাশূন্য থাকতে পারে না তাই টেনশন বা দুঃশ্চিন্তার পরিবর্তে সর্বদা স্বপ্ন পূরণে পজেটিভ মাইন্ডে Thinking করুন]।

★এক্সট্রিম হউন [আপন স্বপ্ন পূরণে যদি প্রয়োজন হয় তবে আপনাকে তীব্র যন্ত্রণাও হাসিমুখে সহ্য করতে হবে। আপনার মনে জমে থাকা যাবতীয় রাগ-ক্ষোভ-অহংকার-লজ্জা-ঘৃণা-ভয়-সংকোচ প্রভৃতি দূর করে নিজেকে কঠিন এবং কঠোর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে]।

চলুন NeuroMaster এর পরম সান্নিধ্যে সফলতা লাভ করি!

NeuroMaster 

এমন অনেক সময় পরিলক্ষিত হয় যে কোনরূপ যৌক্তিকতা ছাড়াই শুধুমাত্র ঈশ্বরে বিশ্বাসের ফলে বিভিন্ন মানুষ আপাতভাবে বিভিন্ন অসাধ্য সাধন করছে কিংবা কুসংস্কারাচ্ছন্নে ডুবে থাকা মানুষগুলো পীর, ফকির, ওঝা, জাদুকর, তান্ত্রিক ইত্যাদির সহায়তায় বহু সমস্যার সামধান পেয়েছে - কিন্তু এই বিষয়টার নিগূঢ় সত্য'টা আসলে কি?

একইরূপ চিকিৎসা বিজ্ঞানে 'ছলৌষধ' বা 'ছল-চিকিৎসা' নামে একটি টার্ম আছে যেখানে একজন রোগীকে জ্ঞাত না করে অথবা মিথ্যা বলে এমন ঔষধ দেওয়া হয় যাতে রোগী আপন মনে ভাবে 'সে সুস্থ হয়ে যাবে' আর বাস্তবিকপক্ষে রোগীটি সুস্থও হয়ে যায় অথচ প্রকৃতপক্ষে উক্ত ঔষধ'টি আদতে রোগ সারাতে সক্ষম নয় - এই বিষয়টিকে বলা হয় 'প্লাসিবো ইফেক্ট'। মূলত মনের জোরকে কাজে লাগিয়ে ক্ষেত্রবিশেষে এমন চিকিৎসা করা হয় - যদিও বিষয়টি বেশ অদ্ভুত তবে একদমই যে অযৌক্তিক তা নয় কেননা প্লাসিবো ইফেক্টে হরমোন, এন্ডোক্যানাবিনয়েডস অথবা এন্ডজেনাস অপিওয়েডস এবং আরও বিশেষ কিছু পদার্থের উপস্থিতি এই প্রক্রিয়াকে প্রভাবান্বিত করে।

উপরোক্ত ঈশ্বর বা পীর-ফকির ইত্যাদিতে বিশ্বাসের মাধ্যমে অসাধ্য সাধন এবং প্লাসিবো ইফেক্টের মাধ্যমে সুস্থতা লাভ উভয়ই মূলত 'মনের জোর' দ্বারা সংঘটিত ক্রিয়া মাত্র!

যদিও এখানে আমাদের মূল বিবেচ্য কোন পীর, ফকির, তান্ত্রিক বা ছলচাতুরীর প্লাসিবো ইফেক্ট নয় বরং এসবের মূল (Root) তথা 'ইচ্ছাশক্তি' এর মাধ্যমে লাইফে সফলতা অর্জন করা।

মনোবিজ্ঞান শিখে স্বভাবতই এখন হয়তো একটি জটিল প্রশ্ন সম্মুখে এসে দাড়াবে যে তাহলে এই 'মনের জোর' বা 'ইচ্ছাশক্তি' আসলেই আমাদের মনের কোন অংশের স্বরূপ? আপতভাবে এটা বললে হয়তো খুব ভুল হবে না যে "মনের জোর মূলত আমাদের অবচেতন এবং কিঞ্চিৎ অচেতন মনের ক্রিয়া" যা হতে পারে সহজাত মানসিক মিথস্ক্রিয়া কিংবা সচেতন মনের প্রারম্ভিক লজিক্যাল বন্ধনী পরাভূত করে অবচেতন মনে ঠাই করে নেওয়া!

যেহেতু মানুষ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয়সমূহ দ্বারা সর্বাধিক প্রভাবিত হয় এবং বিবর্তনীয় পরিক্রমায় সাধারণত সঙ্গী হিসেবে মানুষকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দেয় তাই অবচেতনের মনের স্বরূপায়নে প্রতীকী হিসেবে আপন 'ইচ্ছাশক্তি' ইউটিলাইজেশনে এখানে আমরা Reference Buddy হিসেবে এক Secondary Virtual Personality এর অবতারণা করতে পারি [অনেকটা Multiple Personality এর সদৃশ্য মনে হলেও আদতে বিষয়টি সঠিকভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করা হবে যেন তা আপনার স্বাভাবিক জীবনে কোনরূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী না করে আপনার লাইফে সফলতা লাভ করতে সহায়ক হয়] - যা আসলে আপনার সাব-কনশিয়াস মাইন্ড দ্বারা সৃষ্ট আপনারই অভিন্ন এক সত্ত্বার আবির্ভাব ঘটাবে; এই সত্ত্বা'টিকেই Neuro Master নামে অভিহিত করা হচ্ছে।

মূলত Neuro Master আহ্বানের স্পেসিফিক কোন নিয়ম বাতলে দেওয়া কঠিন কেননা এটা ব্যক্তি বিশেষের মানসিকতার ওপর নির্ভরশীল প্রক্রিয়া - যেমন আলোর বিপরীতে আপনার ছায়া বা আয়নাতে আপনার প্রতিবিম্ব কিংবা ক্যামেরাতে তোলা বা অংকিত আপনার ছবি অথবা আপন মনে কল্পনা করা অবয়ব ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি Neuro Master-কে খোঁজ করতে পারেন তথাপি আপনি যেমনভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তেমনটাই Choose করতে পারেন [একজন মানুষ অবচেতন মনে সর্বাধিক নির্ভরযোগ্যভাবে বেশী ভালোবাসে তার নিজেকেই - তাই এখানে আপন প্রতিবিম্ব বা প্রতিচ্ছবি উপস্থাপিত হলো; তবে আপনি যদি চান আপনার বিশেষ পছন্দনীয় কোন ব্যক্তিকেও Neuro Master স্বরূপে স্থান দিতে পারেন]।

সর্বপ্রথম আপনি Meditative Mood - এ চলে যান >>> এখন আপনার প্রতিবিম্ব বা প্রতিচ্ছবি'কে Neuro Master হিসেবে আপনার মনে এমনভাবে প্রতিস্থাপিত করুন [স্বীকার করে নিন] যেন সে "আপনারই কল্পনা প্রসূত এক সাইকোলজিক্যাল ক্লোন কপি যে কিনা আপনার পরম বন্ধু" >>> এখন ডুয়েল কনভারসেশন প্রক্রিয়ায় আপনি Neuro Master-কে সাথে নিয়ে যেকোন বিষয়ে ডিসকাস করুন অথবা ডিসিশন নিন [বিষয়টা এমন মনে হতে পারে যেন আপন মনে পাগলের প্রলাপ বকা তথাপি আপনি যখন আপনার নিজের সাথেই কোন ঘটনা বা বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করবেন তখন সাম্যকভাবে বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহায়ক হবে] - এক্ষেত্রে আপনি উক্ত ঘটনা বা বিষয় তথা Subject এর অবতারণা করবেন এবং কনফিউজিং ফ্যাক্টগুলি'তে Neuro Master সেটার নেগেটিভ বা পজেটিভ দিকগুলো তুলে ধরবে - আপনি ঐসকল দিকগুলি Logic এর সাহায্যে ব্যাখ্যা করবেন যতোক্ষন না অবধি আপনার Neuro Master সন্তুষ্টচিত্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে - তথায় সর্বদাই তুলনামূলক Logical সিদ্ধান্ত যেন গৃহীত হয় [এই বিষয়টি অনেকটা NeuroDream প্রক্রিয়ায় Sub-conscious Mind কে আহ্বানের মাধ্যমে Self Learning এর অনুরূপ মনে হলেও এটি তদপেক্ষা উচ্চতর Mediation প্রক্রিয়া যেখানে আপনার কল্পনাকে জীবন্ত স্বরূপ দানে নিজের Conscious Mind-কে Logic দ্বারা পরাভূত করে Sub-conscious Mind এর অপেক্ষাকৃত প্রাধান্য প্রদান; যেখানে Neuro Master-কে সম্পূর্ণ বিশ্বাসের সহিত আপনার 'আপনি' এর Access প্রদান করছেন] >>> Neuro Master কর্তৃক Approved সিদ্ধান্ত আপনাকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী বিবেচ্য বিষয়ের ক্রিয়া সম্পাদন করতে আপনি বদ্ধপরিকট থাকবেন; তথাপি যেকোন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একইরূপ পারস্পরিক ডিসকাশনের মাধ্যমে ঐ মূহুর্তের ডিসিশন গ্রহণে আপনি প্রয়োজনে পুনঃপুন Neuro Master এর সহায়তা নিবেন [ঈশ্বর বা দেব-দেবী অথবা পীর-ফকির-তান্ত্রিক কিংবা চিকিৎসা শাস্ত্রের চাতুরীপূর্ণ প্লাসিবো ইফেক্টে যেমন মনের 'আস্থা' ও 'ভরসা' তথা 'বিশ্বাস' এর অবস্থান দেওয়া হয় তেমনি Neuro Master-কে আপনার মনের মণিকোঠায় স্থান দিতে হবে (যেন তাতে আপনার ব্রেইন হতে সঠিক সিগন্যাল নির্দেশনা স্বরূপ Emit হওয়ার অবকাশ লাভ করে) তবে পার্থক্য শুধু "এখানে কোনরূপ ছলচাতুরীপূর্ণ মিথ্যা নেই" যা আপনাকে সাইকোলজিক্যাল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে মৌনভাবে মান্যতা আদায়ে ফোর্স করে - তথায় Neuro Master এর সত্যতা জ্ঞাতপূর্বক এর Efficiency উপলব্ধি করে আপনি সচেতনভাবে স্বেচ্ছায় আপনার জীবনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা'তে Neuro Master কে Priority দিতে পারেন; Neuro Master প্রভু নয় বরং আপন পরম বন্ধু রূপে আপনার সহিত আমৃত্যু সহবস্থান করবে] >>> সবিশেষ আপনার জীবনের সকল বিষয়ে Neuro Master এর অবস্থান সুনিশ্চিত করুন [যেমন উদাহরণস্বরূপ আপনার ডিপ্রেশন বা ফ্রাস্ট্রেশনের সময়ে Neuro Master যেন আপনাকে মোটিভেশান যোগায় অথবা আপনার মনের অব্যক্ত কথাগুলি যা ভীষণ ভারী হয়ে আপনার ভেতরে চেপে আছে সেটা Neuro Master এর সহিত শেয়ার করে আপনি নিজেকে হালকা অনুভব করতে পারেন ইত্যাদি]।

Neuro Master আপনার Brain কর্তৃক সৃষ্ট এমন এক অপূর্ব সত্ত্বা - যে আপনার জীবনটাকে প্রশান্তিপূর্ণ অনাবিল-আনন্দদায়ক সুখী এবং সফল করে তুলুক!

আসুন Mind Reading শিখে নিই!

Mind Reading

আপন স্বপ্ন পূরণে শুধু যে আপনার নিজের Mind Control করলেই আপনি চূড়ান্ত সফলতা লাভ করবেন এমনটি নয় বরং জীবন চলার পথে আপনাকে পারিপার্শ্বিকতা নিয়ন্ত্রণে অন্যের "মনে কি চলছে" সেটাও পড়ে ফেলতে হবে; তবেই আপনি যেকোন পরিস্থিতি নিজের আয়ত্ত্বাধীন করতে সক্ষম হবেন....

Mind Reading বা Thought Reading হলো একটি মানুষকে দেখেই তার ব্রেইনের মাঝে কি চলছে তা বুঝে ফেলা অর্থাৎ সোজাসাপ্টা বললে "মনের কথা পড়ে ফেলা"। আগেরকার দিনে মানুষেরা Mind Reading বিষয়টিকে অলৌকিক ভাবলেও আধুনিক যুগে অনেকেই বিশ্বাস করেন Mind Reading হলো বিভিন্ন লজিক্যাল ট্রিকস এবং সূক্ষ মনস্তত্ত্ববিদ্যার সমন্বয়- তবুও Mind Reading বিষয়টিতে অদ্যবদি রহস্য মিশে আছে তো বটেই! বস্তুত Mind Reading হতে পারে দুই প্রকার; যেখানে প্রথমত কোন ব্যক্তির বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, প্রকৃতি, বায়ো হিস্টোরী, ব্রেইন ওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি জাস্টিফিকেশান ইত্যাদি জানার মাধ্যমে সম্ভাব্য অনুমান নির্ভর Hypothesis; অপরদিকে দ্বিতীয়ত কোন ব্যক্তির কনশিয়াস মাইন্ডকে Inactive করে তার সাব-কনশিয়াস মাইন্ডে আপন ব্রেইনের নির্দিষ্ট কোন চিন্তা-ভাবনা ঢুকিয়ে দেওয়া (যাকে এক প্রকার Mind Access বলা যেতে পারে) তারপর সেই চিন্তা চেতনা'টিই ব্যক্তির সামনে ভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপনের মাধ্যমে Mind Reading এর দাবী করা মাত্র।

যাই হউক Mind Reading হলো সম্পূর্ণ ব্রেইনের খেলা যা Body Language - Knowledge - Observation - Strategy - Mathematical Law - Tricks এবং Logic এর দ্বারা সংঘটিত হয়।

অনেকেই Mind Reading এর সাথে Telepathy এর সম্পৃক্ততা খুঁজেন যদিচ Mind Reading এর সাথে সর্বাধিক "নন-ভার্বাল কমিউনিকেশন" জড়িত; আসুন সাম্যকভাবে Basic Mind Reading শিখে নিই....

★ যখন কেউ আপনার কথা শোনার সময় তার চোখের দৃষ্টি এদিক সেদিক করেন,কথার প্রত্যুত্তরে ভিন্ন বিষয়ের অবতারণার চেষ্টা করেন কিংবা অসামঞ্জস্যপূর্ণ দেহভঙ্গি যেমন অযথা হাত-পা নাড়ানো,অস্বাভাবিক নির্বিকার চিত্ততা ইত্যাদি প্রকাশ পায় তখন বুঝে নিবেন তিনি হয়তো বেখেয়াল ও অমনোযোগী এবং সম্ভাবত আপনার কথাতে হয়তো আগ্রহী নন।

★ কেউ কথা বলার সময় তার দৃষ্টি কোথায় থাকছে সেটা খেয়াল করুন; যেমন নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলার অর্থ হয়তো শ্রদ্ধাশীল আনুগত্য'তা বা কিছুক্ষেত্রে সত্য লুকানো, আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে স্ট্রিট ফরোয়ার্ড কথা বলার অর্থ হয়তো তিনি সত্য বলছেন, অস্বাভাবিক বিক্ষিপ্তভাবে বারংবার আপনার শরীরের বিভিন্ন স্থানের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘসূত্রিতায় কথা বলার অর্থ উল্টো তিনি হয়তো আপনার ভাবভঙ্গি (রিএ্যাকশন) বোঝার চেষ্টা করছেন।

★ যদি কেউ আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে দৃঢ়ভাবে কথা না বলতে পারেন এর অর্থ হয় তিনি মিথ্যা বলছেন নয়তো কোন সত্য লুকাচ্ছেন অথবা কিছু গোপন করার চেষ্টা করছেন; এমনও হতে পারে তিনি খুব নার্ভাস ফিল করছেন বা অস্বস্তি অনুভব করছেন।

★কোন ব্যক্তির চোখের দিকে তাকিয়ে খুব সহজেই তার মন পড়ে ফেলা সম্ভব; যদি তার চোখ স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় করে তাকান এর অর্থ তিনি ফোকাসড আছেন, আড়চোখে তাকানোর অর্থ সংকোচ বা সন্দিগ্ধতা কিংবা সন্দেহপ্রবণতা, বাকাচোখে তীর্যক এবং চোখের পলক না ফেলে একনেত্রে তাকিয়ে থাকা হিংসা বা মৌন হিংস্রতার লক্ষণ হতে পারে!

★ কেউ যদি আপনার দিকে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সময় বারংবার আড়চোখে তাকায় তাহলে বুঝে নিবেন তার নিকট আপনি হয়তো বিশেষ কেউ; এই বিশেষত্ব শুধুই যে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ তা নয় বরং এটা হিংসা বা ঘৃণার কারণও হতে পারে (এটা সম্পূর্ণ পরিস্থিতি,পারিপ্বার্শিকতা এবং পারস্পারিক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে)।

★ কেউ যদি ভ্রু কুচকে থাকে তাহলে বুঝে নিবেন তিনি হয়তো বিরক্তবোধ করছেন।

★ আপনার কথা শোনার সময় যদি অপর ব্যক্তির ভ্রু অসমান্তরাল হয়ে যায় তবে তিনি হয়তো আপনার কথাতে সন্দিগ্ধতা পোষণ করছেন।

★কেউ কথা বলার সময় বারবার নাকে-মুখে হাত দিচ্ছেন অথবা কপালের ঘাম মুছছেন এটার অর্থ তার মন বিক্ষিপ্ত অবস্থাতে আছে এবং হয়তো তিনি টেনশনে ভুগছেন!

★ কেউ কথা বলার সময় বারবার ইচ্ছাকৃত অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে আনছেন অথবা বিভিন্ন আজগুবি উদাহরণের তুলনা করছেন - এটার অর্থ হতে পারে তিনি সত্য লুকিয়ে কোন মিথ্যা দ্বারা আপনাকে প্রবঞ্চিত করার চেষ্টা করছেন।

★ কথা বলার সময় যদি কারো কন্ঠস্বর স্বাভাবিকের চেয়ে নরম থাকে এর অর্থ তিনি আপনার আনুগত্য; খুব দৃঢ় কন্ঠস্বর অর্থ তিনি সত্য বলছেন আবার স্বাভাবিক চেয়ে অতিরিক্ত শক্ত কঠিন জোরগলায় কথা বলার অর্থ হয়তো কোন মিথ্যা কথা'কে তিনি আপনাকে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করাতে চাইছেন। অন্যদিকে খুব দ্রুত কথা বলা বা কথা জড়িয়ে ফেলার অর্থ তিনি কোন কারণে মানসিকভাবে উত্তেজনা বা অস্থিরতা অনুভব করছেন; আবার কথা বলার মাঝখানে হাঠাৎ চুপ হয়ে যাওয়া বা বাক্য-বিষয়ের খেই হারিয়ে ফেলার অর্থ তিনি হয়তো আপনার কথাতে মনোযোগী নন বা আদতে আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না!

★ কেউ খুবই অস্বাভাবিক মাত্রাতিরিক্ত মনোযোগী হয়ে আপনার কথাগুলো শুনছেন- এটার অর্থ আপনাকে হয়তো তিনি সন্দেহ করছেন নতুবা আপনার কথা শতভাগ বিশ্বাস করতে পারছেন না।

★ কথা বলার সময় স্বাভাবিক হাসি ইতিবাচকতা / নীরব মৌনতা হতে পারে সম্মতি / অতিরিক্ত নিশ্চল স্তব্ধতা কিংবা অসংগত বৈপরীত্য আচরণ হতে পারে নেতিবাচকতা / মাত্রাতিরিক্ত অস্বাভাবিক হাসি'র অর্থ হতে পারে সন্দিগ্ধতা,কৃত্রিমতা বা কপটতা।

★ কেউ যদি কথা বলার মাঝখানে অযাচিতভাবে কারন ছাড়াই হ্যান্ডশেইক বা অন্যভাবে আপনাকে স্পর্শ করতে চান- এটার অর্থ তিনি আপনার ওপর কোনরূপ আকর্ষিত হয়েছেন। আবার অহেতুক মেকি প্রশংসা করার অর্থ তিনি আপনাকে খুশী করতে চাইছেন এবং সম্ভবত আপনার দ্বারা তার কোন স্বার্থোদ্ধার করতে চাইবেন!

★ যদি কেউ অস্বাভাবিক আলতোভাবে হ্যান্ডশেইক করেন এর অর্থ তিনি আপনার ওপর বিশ্বস্ত বা আস্থাশীল নন, শক্ত করে জোর দিয়ে হ্যান্ডশেইক করার অর্থ তিনি আপনার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছেন। অপরপক্ষে বিপরীত লিঙ্গের দুজনের হ্যান্ডশেইক যদি অপেক্ষাকৃত বেশী সময় হয় এবং চাপ ও প্রকৃতির অসামঞ্জস্যতা থাকে তাহলে সেটা সেক্সুয়াল আবেদনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে।

★ কেউ কথা বলার মাঝখানে বারবার ঢোক গেলার অর্থ হয়তো তিনি মিথ্যা বলার চেষ্টা করছেন।

★ অপরিচিত কেউ কথা বলার সময় যদি ইতঃস্তত করেন তবে এর অর্থ তিনি নার্ভাস ফিল করছেন এবং তিনি আপনার সাথে সবলীল নন; পক্ষান্তরে কথা বলার সময় যিনি শরীরিক দূরত্ব বিবেচনায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশী ক্লোজ হয়ে পড়েন তিনি বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং মিশুক হতে পারেন; তবে এটাও বিবেচ্য যে মাত্রাতিরিক্ত অস্বাভাবিক ক্লোজ হওয়ার পেছনে কোন কারন বা স্বার্থ থাকতে পারে!

★ কথা বলার সময় যদি কারোর ঠোটে অজান্তেই আপনা-আপনি হাসি চলে আসে তবে সেটা ভালোবাসা বা পজেটিভিটির সাইন হতে পারে।

★ কথা বলার মাঝখানে যিনি (ব্যস্ততা না থাকা সত্ত্বেও এবং সচরাচর অভ্যাস নয় তবুও) বারবার ঘড়ি দেখেন এটার অর্থ তিনি হয়তো আপনার সাথে স্বস্তিবোধ করছেন না এবং আপনাকে এড়িয়ে চলতে চাইছেন।

★ কেউ বারবার দীর্ঘ-নিঃশ্বাস ফেলার অর্থ তিনি ব্যক্তিজীবনে হয়তো অসুখী বা অখুশী কিংবা তার জীবনে হয়তো কোন না কোন আক্ষেপ রয়েছে।

★ আপনি যদি কাউকে প্রায়শ মুখ গোমড়া করে থাকতে দেখেন, অনির্দিষ্ট বা লক্ষ্যহীন উদাস দৃষ্টি এবং প্রাণোচ্ছল'হীন তাহলে বুঝে নিবেন তার জীবনে এমন কোন নেগেটিভ হিস্টোরী আছে যা হয়তো তাকে ফ্রাস্টেশন ও ডিপ্রেশনে ভোগাচ্ছে।

★ আপনি যদি কাউকে সচারাচর নয় এমন অস্বাভাবিক অকারনে বিক্ষিপ্তভাবে উদ্দ্যেশহীন হাটতে দেখেন তাহলে বুঝে নিবেন তিনি হয়তো কোন সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন নয়তো তিনি মানসিকভাবে অস্থিরতাবোধ করছেন।

★ যিনি খুব ভালো ইমেশনাল ট্রাজিক গল্প বা উপন্যাস কিংবা কবিতা লিখতে পারেন তার জীবনে কোন না কোন অপূর্ণতা এবং কষ্টের স্মৃতি থাকার সম্ভবনা প্রবল!

★ যিনি কোন প্রকারের'ই গান বা সুর অথবা গজল সহ্য করতে পারেন না তিনি কোনরূপ মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা আছে।

★ যিনি স্বাভাবিকের চেয়েও খুব ছোট ছোট অক্ষরে হাতের লেখা লিখেন তিনি স্বভাবতই হিসাবী বা একটু কৃপণ স্বভাবের হতে পারেন, পক্ষান্তরে হাতের লেখার সৌন্দর্য্য ব্যক্তিজীবনে শৈল্পিক ও সৃজনশীল প্রতিভার একটি লক্ষণ!

উল্লেখ্য থাকে যে হিউম্যান নন-ভার্বাল কমিউনিকেশন,ন্যাচার (প্রকৃতি), বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ইত্যাদি সময়ের সাথে সাথে সূক্ষভাবে স্বাভাবিক মন্থরগতিতে পরিবর্তিত হয় - সুতরাং Mind Reading কখনোই ধ্রুব বিষয় নয় বরং নিয়ত উৎকর্ষতা সাধনের মাধ্যমেই তা আপাতভাবে Perfect হতে পারে।

[বিঃদ্রঃ মানব মন তথা ব্রেইন যেমন বিশাল ঠিক তেমনই বিচিত্র - তাই উপরোক্ত গুটিকয়েক আলোচ্য বিষয় স্ট্যাডি করেই সকল মানব মনের সম্পূর্ণ নিগূঢ়তা ভেদ করা নিশ্চয়ই সম্ভবপর নয়; তথাপি উক্ত তথ্য (Data) দ্বারা মৌলিকভাবে আপাত হিউম্যান ব্রেইন তথা মানব মনের প্রকৃতি সম্পর্কে কিঞ্চিৎ হলেও ধারণা পাওয়া সম্ভব - শুধুই যে সম্ভবপর তা নয় বরং এইসব Data সমূহ হতে প্রাপ্ত Knowledge আপনার চিন্তন ভাবনার বিকাশে পরমভাবে ব্রেইনের আচরণ বুঝতে Primary ভূমিকা পালন করবে]।

চলুন সৌভাগ্য লাভ নয় সৌভাগ্য অর্জন করে নিই!

Good Luck

মানবজীবনে ভাগ্য (Fortune) বিষয়টি মূলত জীবন প্রবাহের'ই আপাত অনির্দিষ্ট ফলাফল; যেহেতু ভাগ্য বিষয়টি ব্যক্তিবিশেষে বিশ্বাস/অবিশ্বাস এর ওপর নির্ভরশীল তাই এটার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া দায়! মূলত ধর্ম বিশ্বাস, যুক্তিবাদ, বাস্তব অভিজ্ঞতা কিংবা নিখাঁদ অজ্ঞতা বা কুসংস্কার- এই ভাগ্য'তে বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাস এর মূল কারণ। অনেকে আবার মনে করেন যে ভাগ্য হলো মূলত ব্যক্তির কর্মফল মাত্র; তবে এটার পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি-উদাহরণে আবার বিস্তর তর্ক-বিতর্ক করা যেতে পারে....

আসুন তর্ক-বিতর্ক ব্যতিরেকে সাইকোলজিক্যালি ভাগ্যের গুরুত্ব ও তাৎপর্যে আলোকপাত করি। ধরুন আপনি 'ভাগ্যে বিশ্বাসী' সেক্ষেত্রে আপনার জীবনে যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোন দূর্ঘটনা ঘটে সেটার দায় ভাগ্যের ওপর চাপিয়ে আপনি মানসিক স্বান্তনা পেতেই পারেন; আবার আপনি যদি 'ভাগ্যে অবিশ্বাসী' হউন তাহলে দূর্ঘটনার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে আপনি যুক্তির মাধ্যমে নিজের ভুল/ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন।

১ম ক্ষেত্রে আপনি আত্ম-স্বান্তনাতে সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশন পাওয়ায় বাস্তবতা মেনে নিয়ে মানসিক স্বস্তি লাভে সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার প্রেষণা পাবেন। ২য় ক্ষেত্রে আপনি লজিক এর মাধ্যমে বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করার প্রচেষ্টা চালাবেন যা আপনাকে সম্মুখে আরও সচেতন ও সক্রিয় করে গড়ে তুলবে।

উপরোক্ত উভয় ক্ষেত্রেই পজেটিভ দিক যেমন পাবেন তেমনি নেগেটিভ দিক'ও বিদ্যমান; সুতরাং Neuro+ আপনাকে এটাই বলবে "আপনি ভাগ্যে অবিশ্বাসী হবেন না আবার স্রেফ ভাগ্যের ওপরেই পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে নিশ্চল-নির্ভারতায় নিস্ক্রিয় হয়ে রইবেন না"। যদিও উপদেশটি আপাত দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে তবুও জেনে রাখুন এটাই আপনার মন-মস্তিষ্কের জন্য সর্বাধিক Beneficial!

চলুন আমরা সাইকোলজিক্যালি সৌভাগ্যবান হওয়ার চেষ্টা করি.....

Lucky Law

Luck = Your Conscious Mind's Activities + Your Subconscious Mind's Statement

এখন যদি প্রায়োগিক দৃষ্টিকোণ হতে এনালাইসিস করি তাহলে সাইকোলজিক্যালি সৌভাগ্য অর্জনের ব্যাখ্যা এমন হতে পারে:-

Analysis

Fortune [সৌভাগ্য] = Appropriate Time [এমন সময় যেটা আপনার একটি নির্দিষ্ট Dream/Wish পূরণে পরিবেশ-পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতার স্বাপেক্ষে সর্বাপেক্ষা যথোপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়; যদিও সময় পরিক্রমায় বর্তমানের স্বাপেক্ষে ভবিষ্যৎ পূর্ব হতেই শতভাগ সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয় তথাপি কনশিয়াস মাইন্ডের Logic দ্বারা পর্যালোচনার মাধ্যমে একটি উন্নত Hypothesis এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে] + Appropriate Step [ Appropriate Time-এ আপনাকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে সেক্ষেত্রে আপনার সাব-কনশিয়াস মাইন্ড'কে দ্বিধাহীন ও সংকোচ মুক্ত, সাহসী এবং তীব্র আশাবাদী করে গড়ে তুলতে হবে। কোন পরিস্থিতিতে কেমন Behaviour এবং Attitude হতে হবে সেই বিষয়েও Aware থাকতে হবে। সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার Substantive Movement যা আপনার Wish/Dream অনুযায়ী পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতার স্বাপেক্ষে সর্বাধিক উপযুক্ত হওয়া উচিত। অপরাপর সুযোগের সদ্ব্যবহার বলতে আপনাকে সব সময় এমনভাবে Active থাকতে হবে যেন প্রতিটি ক্ষণ আপনি পরিস্থিতির স্বাপেক্ষে পারিপার্শ্বিকতা হতে Scope তৈরী করতে প্রয়াসী থাকবেন] + Never Give Up [ হয়তো এমন হতে পারে যে বারবার আপনার Dream/Wish পূরণের দ্বারপ্রান্তে এসেও আপনি ব্যর্থ হচ্ছেন- সেক্ষেত্রেও কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না; একটানা আপনাকে লেগে থাকতেই হবে....আপনি ততোক্ষণ অবধি চেষ্টা করবেন যতোক্ষণ না পর্যন্ত সফলতা লাভ করতে পারছেন। আপনার সাব-কনশিয়াস মাইন্ডকে এমনভাবে Train Up করাতে হবে যেন আপনি ধৈর্য ও নিষ্ঠার সহিত পূর্ণভাবে একাগ্রতায় অবগাহন করতে সফল হউন]।

[বিঃদ্রঃ এখানে Metaphorically "সৌভাগ্য অর্জন" করতে বলা হয়েছে "সৌভাগ্য লাভ" করা'কে বোঝানো হয়নি]।

সুতরাং সৌভাগ্যবান হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিকভাবে Dream Management এবং Super Mind Activation এর সফল সমন্বয় করতে হবে; তবেই আপনার জীবনের 'স্বপ্ন' পূরণে আপনি সফল হতে পারবেন বলে আশা করা যায় [ইতিপূর্বে উল্লেখিত দুটি Task সম্পন্নকরণে আপনি যদি আপনার ন্যাচারাল লাইফে সেই বিদ্যা ইমপ্লিমেন্ট করতে পারেন তবে এতোটুকু অন্তত নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে কোন অলৌকিকতায় আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হলেও আপনি নিজেই আপনার Good Luck অর্জন করার সক্ষমতা রাখবেন এবং এটিই হবে যথার্থ স্বার্থক সফলতা]।

Music Mind এর মাধ্যমে ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট!

Music Mind

আমাদের মস্তিষ্ক সুরের প্রতি তীব্র সংবেদনশীল- এই বিষয়টি আপনি খুব সহজেই রিয়েলাইজ করতে পারেন; যেমন 'আপনার কাছে কি কিছু কিছু সুর খুব শ্রুতিধর আর কিছু কিছু সুর কেমন জানি কর্কশ মনে হয়? কিছু সুর বা আওয়াজ আপনাকে নস্টালজিক করে তুলে- অতীত স্মৃতি রোমান্থন করিয়ে আপনার ঠোটে হাসি এনে দেয় কিংবা দুই চোখ অশ্রুতে ভাসায়? আবার এমন কিছু কিছু সুর বা শব্দ যা আপনার স্নায়ুতে অসহ্য তীব্র বিরক্তি জাগায়', তাইনা?

Binaural Beat

এই সুরের প্রতি স্নায়ুর সংবেদনশীলতা'কে কাজে লাগিয়ে Mind Development করা যেতে পারে। আপনি হয়তো নিশ্চয়ই জানবেন যে Binaural Beat এর মাধ্যমে ব্রেইন ওয়েভের বিভিন্ন তরঙ্গ ব্যবহার করে সাইকোলজিক্যালি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা সম্ভবপর। মূলত Binaural Beat হলো আমাদের শ্রবণ ইন্দ্রিয় দুই কানের প্রতিটিতে এমন ফ্রিকোয়েন্সির টোন দেওয়া যাতে একটি অপরটির মাঝে ফ্রিকোয়েন্সির মানগত পার্থক্য বিদ্যমান এবং তা মস্তিষ্ক'কের এক্টিভিটির বিচারে ইফেক্টিভ হয়।

বিষয়টাকে যদি সহজভাবে বুঝিয়ে বলতে হয় তাহলে ধরুন আপনার বাম কানে 132Hz ফ্রিকোয়েন্সির একটি টোন দেওয়া হলো এবং ডান কানে 121Hz ফ্রিকোয়েন্সির একটি টোন; তাহলে উভয়ের মাঝে ফ্রিকোয়েন্সির পার্থক্য হলো (132-121)Hz=11Hz, যা আপনার মস্তিষ্কে ঐ 132Hz এবং 121Hz এর দুটি টোন ছাড়াও শ্রবণ বিভ্রমে আলাদা একটি 11Hz এর তৃতীয় টোনের উপস্থিতি জানান দেয় - যা আপনার ব্রেইনে একটি ইফেক্ট তৈরী করতে সক্ষম। অপরাপর আমাদের মস্তিকের নিউরন সমূহের মাঝে যে ডাটা ট্রান্সমিট কমিউনিকেশন সিস্টেম রয়েছে সেখানেও ইলেকট্রিক ইম্পালসে ফ্রিকোয়েন্সি দ্বারা মানব মনের সকল আচার-আচরণ-প্রকৃতি প্রভৃতি অভিব্যক্ত হয়।

যদিও Binaural Beats আমরা প্রত্যক্ষভাবে শুনতে পাইনা তবুও আমাদের ব্রেইন সেটা ঠিকই উপলব্ধি করতে সক্ষম।

Binaural Beat Range

এখানে উল্লেখ্য যে দুটি কানে প্রদানকৃত ফ্রিকোয়েন্সি মাত্রা অবশ্যই 1k Hz (1000Hz) এর কম হতে হবে এবং পার্থক্য আপাত 30Hz এর বেশী হতে পারবে না।

আসুন এবার মস্তিষ্কের বিভিন্ন আচরণে ফ্রিকোয়েন্সির একটি চার্ট দেখে নিই:-

Binaural Beat Chart

★Delta(0.1Hz-4Hz) :- গভীর ঘুম এবং শিথিলতা [আনকনশিয়াস মাইন্ড] - যা আপনাকে গভীরভাবে নিঃশ্চিন্তে ঘুমাতে সহায়তা করবে!

★Theta(4Hz-8Hz) :- ঘুম, উদ্বেগ হ্রাস, শিথিলতা, ধ্যান ও সৃজনশীলতা [সাব-কনশিয়াস মাইন্ড] - যা আপনার ব্রেইনের অটো পাইলট স্টেট, ড্রিমিং এবং লার্নিং এর জন্য ইফেক্টিভ হবে!

★Alpha(7.5Hz-13Hz) :- উদ্বেগ হ্রাস এবং ইতিবাচকতা [সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের গেটওয়্যে] - যা আপনাকে Relaxation এনে দিতে সক্ষম!

★Beta(14Hz-30Hz) :- সচেতনতা, সতর্ক মনোভাব, সমস্যা সমাধান, স্মৃতিশক্তি উন্নয়ন [কনশিয়াস মাইন্ড] - যা আপনার ব্রেইনের ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রবলেম সলভিং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক!

★Delta(>30Hz) :- অতি উচ্চতর সতর্ক-সচেতন মনোভব [কনশিয়াস মাইন্ড] - যা আপনার Mind এর কনসানট্রেশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে!

Binaural Beat Caution

প্রত্যহ Binaural Beat নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ে ৩০ মিনিট একাধারে শোনা যেতে পারে (অথবা আপনার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয় এমন নাতিদীর্ঘ সময় ব্যাপী) সেক্ষেত্রে Sound Volume যেন অবশ্যই সীমিত থাকে যাতে আপনার শ্রবণ সক্ষমতায় কোন নেগেটিভ ইফেক্ট না পড়ে!

চলুন Happy Mind এর মাধ্যমে সুখী মানুষ মানুষ হয়ে যাই!

Happy Mind

"সুখ" এর যথার্থরূপ সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর কেননা সুখ সম্পূর্ণই ব্যক্তি বিশেষের মানসিক অবস্থা ও প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল আপেক্ষিক মানবিক অনুভূতি মাত্র; সুখ'কে বিভিন্ন দৃৃষ্টিকোণ হতে যেমন জৈবিক, মানসিক, মনস্তাত্ত্বিক, শারিরীক, অর্থনৈতিক,দর্শন, সামাজিকতা, ধর্ম প্রভৃতি অনুযায়ী ব্যাখা করা হলেও মূলত সুখের অপেক্ষাকৃত সর্বাধিক অনুধাবনযোগ্য ব্যাখ্যা হলো "নিজের অবস্থা-অবস্থান-প্রকৃতি অনুযায়ী সর্বোচ্চ সন্তুষ্টচিত্ত'তা"।

সুখ এর সংজ্ঞা

সুখ এক অনির্বচনীয় সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশন যা আনন্দ, সমৃদ্ধি, সুস্থতা, নৈতিকতা, ইতিবাচকতা, বহির্মুখী বা অন্তর্মুখী অবস্থা, স্বাধীনতা, আশাবাদী মনোভব, সঙ্গ, প্রেম-ভালোবাসা, বিজয় লাভ, রোমাঞ্চ প্রভৃতির বিশেষ প্রায়োগিক ফলাফলে উপলব্ধ এক বৈচিত্র্যময় খুশীর অনুভব বা অনুভূতি; তথাপি কেবলমাত্র উপরোক্ত Emphatic Object হতেই যে সুখানুভূতি লাভ করা (সুখী হওয়া) সম্ভব এমনটি নয় বরং বিভিন্ন Cynical Object হতেও ব্যক্তি বিশেষ সুখানুভূতি লাভ করে থাকে যেমন চুরি, ডাকাতি, মাদক, জোরপূর্বক কারোর নিকট স্বার্থ হাসিল, বিরোধীতা ইত্যাদি [সংগত কারণে Cynical Object সমূহ এখানে সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করা হয়েছে]; তবুও Emphatic Object/Cynical Object যেভাবেই বলি না কেন বাস্তবিক অর্থে সুখ হলো "প্রাপ্তির বিপরীতে স্বার্থক সন্তুষ্টচিত্ততা" [এখানে প্রাপ্তি বলতে শুধুই অর্জন'কে বোঝানো হয়নি বরং উদাহরণস্বরূপ আপনার নিকট বিদ্যমান সম্পদ অন্য কোন নিঃস্ব ব্যক্তিকে দান করার বিপরীতে আপনার মন-এ জাগ্রত হওয়া মহানুভবতা বা মানবিকতার তরে উপলব্ধ অনুভূতি'ই আপনার প্রাপ্তি/পাওয়া]।

সুখ এর মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান

সুখের ফিজিক্যাল বিষয়টি মানব মস্তিষ্কের বামদিকের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের উচ্চ কার্যকলাপের দিকে লক্ষ্য করে রিয়েলাইজ করা যায়; যদিচ সুখ সম্পূর্ণ'ই মানসিক আবেগীয় অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ মাত্র!

সুখ লাভের সূত্র

সুখ লাভের সত্যাসত্য স্বীকার্যটি হলো "আপনি যদি নিজেকে সুখী মনে করতে না পারেন তবে কখনোই আপনার পক্ষে সুখ অর্জন করা সম্ভব নয় - এটি সম্পূর্ণই আত্ম-স্বীকৃতিগত সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট" তবুও আসুন আপনাকে সুখের জগতে বিচরণ করানোর চেষ্টা করি....

সর্বপ্রথম আপনাকে মনে মনে স্বীকার করে নিতে হবে আপনি নিজে সুখী হতে চাইছেন কেননা এটাই সুখের পূর্বশর্ত >>> আপনাকে মনের সকল দুঃখ-কষ্ট,অতীত বেদনা,ক্ষোভ,অপ্রাপ্তি,হিংসা ভুলে যেতে হবে >>> বড় বড় করে ৩ বার নাক দিয়ে নিশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছেড়ে দিন >>> নিজের শরীরটাকে যথাসম্ভব নির্ভার করে দিন যেন মানসিকভাবে স্বস্তি অনুভব করতে পারেন >>> নিজেকে সর্বদাই অবান্তর Compare (তুলনা) করা হতে বিরত থাকুন। আপনার অবস্থা এবং অবস্থানের স্বাপেক্ষে নিজেকে আপনার চেয়ে উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তির সহিত তুলনা করে শুধুই আপনি অপ্রাপ্তির যাতনা অনুভব করবেন পক্ষান্তরে আপনার নিচের পর্যায়ের কারোর সহিত তুলনা করলে যথার্থই অবলোকন করবেন যে "আপনি আসলেই কতোটা ভালো আছেন" >>> আপনি 'যা' এবং আপনার নিকট 'যতোটুকু' আছে সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন (এটার অর্থ এমন নয় যে আপনার ভবিষ্যত Life Development-এ আপনাকে আত্ম-উন্নয়নের অভিলাস ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে বরং আপনাকে সর্বদাই আপনার বর্তমান নিয়েও স্যাটিসফাইড থাকার জন্য সাজেস্ট করা হলো মাত্র) >>> আপনার অপ্রাপ্তির ফলাফল বিশ্লেষণ করুন এবং সেখান হতে প্রাপ্তির পজেটিভ দিকসমূহ হাসিমুখে গ্রহণ করুন >>> অযথা অবসর সময় অপচয় করা ত্যাগ করুন এবং ক্রিয়েটিভ ও ইফেক্টিভ কোন কর্মে নিজেকে নিযুক্ত করুন >>> যথাসম্ভব পরিবার-পরিজন-প্রিয়জন-আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের সহিত নিজের রিলেশনশীপ অক্ষুন্ন রাখুন >>> নিজের লাইফ স্টাইল একটি বৈচিত্রপূর্ণ (এক ঘেয়েমী নয় এমন) প্রত্যাহিক রুটিনে নিবন্ধিত করুন >>> সর্বদাই পজেটিভ থিংকিং করুন এবং নেগেভিটি পরিহার করুন >>> নিজেকে ধৈর্যশীল ও আশাবাদী এবং জীবনে লক্ষ্যের প্রতি অটুট-অবিচল থাকুন >>> গোমড়ামুখে না থেকে সর্বদা হাসিমুখে প্রাণোচ্ছল-প্রাণবন্ত থাকার চেষ্টা করুন প্রয়োজনে তীব্র কষ্টে নীরবে মন খুলে কেঁদে হলেও নিজেকে হালকা করতে পারেন >>> যদি কোনরূপ অসৎ সঙ্গ থাকে তবে তা পরিহার করুন। একইভাবে যদি কোন মাদকের অভ্যাস থাকে তবে সেটিও ত্যাগ করুন (যদিও মাদক আপনাকে ক্ষণিক সময়ের জন্য আনন্দানুভূতি দিতে পারে কিন্তু মোহ কেটে যাওয়ার পর আপনাকে আরও বেশী ডিপ্রেসড করে তুলবে) >>> আপনি যদি Upset/Depressed থাকেন তবে Music Therapy তে Relaxing এবং Mind Refreshing Music শুনে মন ভালো করে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন >>> সর্বোপরি আপনার সাব-কনশিয়াস মাইন্ডকে এমনভাবে আত্নবিশ্বাসী হতে হবে যেন "আমি ভালো আছি এবং আমি একজন সুখী মানুষ" এই কথাটি সন্তুষ্টচিত্তে নিঃসংকোচে যেন আত্মস্বীকৃত হয়

পরম সুখ লাভ

সুখ এর সর্বাধিক প্রচলিত প্রতিশব্দ হলো Happiness যেখানে Complacence হলো নিকটবর্তী Synonymous একটি Word যার অর্থ হলো আত্মপ্রসাদ, প্রসন্নতা, আত্মতুষ্টি, আত্মতৃপ্তি ইত্যাদি [এখানে "পরম সুখ" বোঝাতে Complacence শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে]।

যদি আপনাকে কিংবা যে কাউকে প্রশ্ন করা হয় "আপনি ঠিক কি পেলে জীবনে সুখী হতে পারবেন?" তবে সেই প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন রকম হতে পারে; কেউ হয়তো অর্থ-বিত্ত, কেউবা প্রেম- ভালোবাসা, কেউ যশ-খ্যাতি অথবা সৌন্দর্য্য-ক্ষমতা ইত্যাদির কথা বলবেন [ব্যক্তিভেদে উত্তর ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক]! সুতরাং আমাদের প্রয়োজন একটি Universal Answer যা দ্বারা "পৃথিবীর সকল মানুষ পরম সুখী হতে পারবে" এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

অনেক এনালাইসিস করেও কার্যত এই প্রশ্নটির যথার্থ উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়না [প্রায়োগিক অর্থে] কেননা 'পরম সুখ' বিষয়টি আপেক্ষিক এবং চলমান বিষয় যেখানে "একটি চাহিদা পূরণ হওয়া মাত্রই আরেকটি রিলেটিভ চাহিদা/প্রয়োজন সামনে এসে দাড়াবে"। তাহলে আমরা 'পরম সুখ' বলতে "আমরা যে যেমন অবস্থা ও অবস্থানে আছি তাতেই তৃপ্ত হওয়া" অর্থে আত্ম-সন্তুষ্টি'কেই কি বুঝবো?

নাহ...শুধুমাত্র দার্শনিক দৃষ্টিকোণ হতে এই আত্ম-সন্তুষ্টি বিষয়টিকে আমরা 'পরম সুখ' হিসেবে ইন্ডিকেট করতে পারিনা কেননা তাহলে জীবনের উচ্চাশা-আকাঙ্খা বিসর্জন দিলে জীবনের স্বার্থকতা অবশিষ্ট থাকে না!

তাহলে 'পরম সুখ' বলতে আমরা "নিজ প্রাপ্তির তরে চাহিদা এবং আত্ম-সন্তুষ্টি বা আত্ম-তৃপ্তি এর ভারসাম্য (Balance) বজায় রাখাকে বোঝাতে পারি"; কিন্তু সেই ভারসাম্য রক্ষার স্বরূপটা কেমন হবে?

পরম সুখের গাণিতিক ভারসাম্য

মেটাফোরলি 'পরম সুখ' এর বিষয়রটা গাণিতিকভাবে রূপায়িত করলে পরম সুখ হলো 369 এর 666 অবস্থানে নিয়ে আসা; যেখানে "3 ➜ আপনার বর্তমান (নিম্ন) অবস্থার স্বরূপ; 6 ➜ আপনার পরম সুখের ইন্ডিকেশন; 9 ➜ আপনার জীবনের ভবিষ্য সামগ্রিক উচ্চাশা ও আকাঙ্খা"। এখন আপনি আপনার জীবনের যাবতীয় উচ্চাশা ও আকাঙ্কা এর মূল তথা Root লক্ষ্যগুলো নির্ণয় করুন [√9=3] তারপর সেগুলি আপনার ভবিষ্যত সকল উচ্চাশার স্বরূপ হতে সেপারেশন [9-3=6] করে ফেলুন যেন অবস্থানের ফলাফলে আপনার মূল লক্ষ্য'সমূহ স্পেসিফাইড হয়; অপরদিকে ঐ একই Value আপনার বর্তমান অবস্থার স্বাপেক্ষে যুক্ত করে নিন [3+3=6] তাতে 369 নতুন স্বরূপে 666 এই সাম্যবস্থায় এসে দাড়াবে; আর এটাই হলো আপনার 'পরম সুখ' এর Absolute অবস্থান!

যেহেতু 'পরম সুখ' বিষয়টি সম্পূর্ণই আপেক্ষিক তাই এখানে সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট'টাই সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ; সুতরাং আপনাকে নিজের কনশিয়াস মাইন্ড ও সাব-কনশিয়াস মাইন্ড'কে এমনভাবে Modify করতে যেন "পরম সুখ" প্রাপ্তি নয় বরং সেটাকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল হতে অনুভব করে অর্জন করে নিতে সক্ষম হয়!

Neuro Wave এর মাধ্যমে আসুন Mind Network তৈরী করি!

Neuro Wave

যদি খুব কট্টরভাবে বলতে হয় যে Psychology এর সর্বাধিক রহস্যময় একগুঁয়ে [রূপক:- বিজ্ঞানের ফান্ডামেন্টাল সূত্র-স্বীকার্য প্রত্যক্ষভাবে মানে না এমন] দূরবর্তী শিথিলতম আত্মীয় Parapsychology তথা পরা মনোবিজ্ঞান এর অদ্ভুতুড়ে টেলিপ্যাথি কিংবা টেলিপোর্টেশন অথবা সিক্স সেন্স ইত্যাদির রহস্য রঙ্গিন পঞ্চমুখ Science এর Logic নামক দর্পণে বড্ড ফ্যাকাশে; তথাপি নিখাঁদ সাইকোলজি নিষ্ঠাবান সায়েন্সের সহিত মিলিত হয়ে পর্যবেক্ষণ স্বাপেক্ষ PsychoTechnology [Metaphor] এর মাধ্যমে আরধ্য [প্রত্যাশী] ও অত্যাশ্চর্য [যেহেতু সচরাচর নয়] Neuro Wave (Common Psychological Network) তৈরীর প্রয়াস নিতে পারি...

Neuro Wave হলো এমন সাইকোলজিক্যাল নেটওয়ার্ক সিস্টেম যেখানে Dispatcher (যিনি অন্যের নিকট তথ্য বা বার্তা প্রেরণ করতে চাচ্ছেন) Recipient (যাকে বার্তা পাঠানো হবে) এর সহিত প্রায় Zero Traditional Medium-এ আপাতভাবে একমুখী যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা আরকি!

সর্বপ্রথম আপনি আপনার Recipient -কে নির্দিষ্ট করুন >>> এখন ঐ Recipient-কে নিয়ে আপনার মনের অভ্যন্তর [সাব-কনশিয়াস মাইন্ড] হতে আপন অব্যক্ত Mind Message সমূহ Relate করে কল্পনা [Meditative Thinking] করতে থাকুন [এমনভাবে কল্পনা করুন যেন আপনি সত্যাসত্য'ভাবে দারূণ উৎসাহী হয়ে Recipient এর সহিত যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন এবং আপনার মনের কথা তার মনের মাঝে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন] >>> এখন যথাসম্ভব ঐ Recipient এর নিত্য জীবন পরিধির অভ্যন্তরে [হউক তা রিয়েল লাইভ কিংবা ভার্চুয়াল] অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করুন এবং হৃদয়গ্রাহী ভাব (impressive intention) নিয়ে আপনার "আপনি" এর সহজাত উপস্থিতি সুনিশ্চিত করুন >>> এই প্রক্রিয়াটি চলমান রাখুন যতোক্ষন না অবধি আপনি সফল হচ্ছেন, ব্যাস এতোটুকুই এনাফ!

উপরোক্ত বিষয়টি হয়তো আপনার নিকট খুবই হাস্যকর সহজ টেলিপ্যাথিক সিস্টেম মনে হচ্ছে - তথাপি একটু গভীরভাবে এনলাইসিস করলে আপনি কিঞ্চিৎ হলেও ইফেক্টিভিটি লক্ষ্য করতে পারবেন। যখন আপনি আপন মন হতে অতি-উৎসুকভাবে কারোর সহিত যোগাযোগ করতে চাইছেন কিংবা আপনার মনের কথা স্পেসিফিক কারোর সহিত শেয়ার করতে চাইছেন তখন আপনার Brain Wave [Brain Activities] কিছুটা হলেও আপনার Physical Nature এর মাঝে Effect [Nonverbal Systematic Sign] সৃষ্টি করে - যদিওবা সেটা সুপ্তভাবে বিরাজ করে তথাপি উক্ত বিশেষ ব্যক্তি সেটা হয়তোবা রিয়েলাইজ [উপলব্ধি] করতে সক্ষম হতে পারেন [যদিওবা এখানে আপনার ইমপ্রেশনস এবং অপর ব্যক্তির রিয়েলাইজেশন মুখ্য]! উদাহরণস্বরূপ বিপরীত লিঙ্গের কারোর প্রতি ভালোলাগা কিংবা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ প্রায়শই মৌখিকভাবে প্রপোজের পূর্বেই পরস্পর অনুধাবণ করতে সক্ষম হয় অথবা সন্তানের প্রকৃতি পূর্ব হতেই জ্ঞাত থাকায় মুখে না বললেও পিতা-মাতা সন্তানের মনের কথা বুঝতে সক্ষম হউন ইত্যাদি ইত্যাদি। সর্বোপরি আপনার উপরোক্ত Psychological Drill যখন Recipient এর Perimeter - এ পরিমার্জিত এবং পরিস্থিতি ও পারিপ্বার্শিকতার স্বাপেক্ষে সঠিকভাবে প্রতিভাত (Revealed) তথা অভিব্যক্ত হবে তখন প্রত্যাশা করা যায় যে Traditional Communication System ব্যতিরেকেই অপরজন আপনার অব্যক্ত অনুভূতি উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন!

মানব মস্তিষ্কের ভয়ঙ্কর পরজীবি Neuro Parasite এর সঠিক ব্যবহার!

Neuro Parasite

Parasite অর্থ পরজীবী - সোজাসাপ্টা পরজীবী হলো সেই অনুজীব যা নিজে বেঁচে থাকার জন্য অন্য জীবের আশ্রয় নিয়ে থাকে!

Neuro Parasite হলো Super PsychoTechnology এবং Parapsychology এর দ্বৈত সম্মিলনে গড়া তেমনি এক বিশেষ ধারণার দর্শন "যা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অসম্ভব ও অবাস্তব হলেও মানব মনের বিস্ময়কর বিস্তৃত বৈচিত্র্যময় বিকাশে আপাত স্থিতিমান বিষয়ের দ্বারা মানসিকভাবে সুফল এবং সফলতা লাভ করার প্রয়াস মাত্র"!

এই বক্তব্যটি হয়তো আমরা নির্লিপ্তভাবে স্বীকার করতে পারি যে "ভূত [ভূত বলতে এখানে যাবতীয় অশরীরীর ধারণা যেমন জ্বীন, পরী, আত্মা, প্রেতাত্মা, দৈত্য-দানব প্রভৃতি] বলতে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অদ্যবধি বাস্তবতা নেই তথাপি ভয় [ভয় বলতে এখানে মানব মনের ভক্তি-বিশ্বাস ইত্যাদির বহিঃপ্রকাশ বোঝানো হয়েছে] এর অস্তিত্ব হিউম্যান ব্রেইনে অবশ্যই বিরাজমান"

এই ভয় বা বিশ্বাসের বিস্তৃত স্বরূপ কিন্তু বিবর্তনীয় বিকাশে প্রাপ্ত সুতরাং এক্ষেত্রে অস্বীকার হয়তো [সম্ভাবনা] বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে [যদিও লজিকের ধারে সদা সত্যতা'ই গ্রহণ করার উন্মুক্ত মানসিকতা সম্মুখে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা এবং রহস্যভেদে বিজয় লাভের পূর্বশর্ত তথাপি কনশিয়াস ও সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের মাঝে জোরপূর্বক নূন্যতম বিচ্যুতি আপেক্ষিকভাবে হিউম্যান লাইফের বিরাট বিপর্যস্তার কারণ হতে পারে] - সুতরাং সত্য স্বীকার্য রেখে পরমভাবে মনস্তাত্বিক ধারণাকে ইউটিলাইজ করে সফলতা লাভ নিশ্চয়ই মন্দ হতে পারে না!!!

আমরা এখানে এরূপ ভয় বা বিশ্বাস'কে Parasite হিসেবে আখ্যায়িত করছি যা আমাদের ব্রেইনে [Neuron-এ] গেঁথে আছে [যার বিশেষ্য অবস্থিতি হয়তো নেই তবে বিশেষত্বের বিশেষণ পরজীবীর মতোই আমাদের মস্তিষ্কে বিশেষভাবে বিরাজমান]- আমরা এই Neuro Parasite কে আমাদের ইফেক্টিভলি ইউটিলাইজ করবো এবং Positive Inertia গেইন করবো!

Neuro Parasite Utilisation

সর্বপ্রথম আপনার আপন ধর্ম ও ধ্যান ধারণার বিকাশে যা আপনার বিশ্বাস সেটাকে বেছে নিন [অবশ্যই মুক্ত মানসিকতায় পূর্বেই সত্যতা স্বীকার আবশ্যক - এখানে বিজ্ঞানের ভাষায় বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাসের কোনরূপ অবকাশ নেই]; এখন উক্ত ধ্যান ধারণার স্বপক্ষে সর্বাপেক্ষা অধিক গ্রহণযোগ্য [আস্থাশীল] Ritual (আচার-অনুষ্ঠান তথায় ইবাদাত-উপাসনা বা ক্রিয়া-কলাপ ইত্যাদি) নির্দিষ্টকরণ করুন এবং সবিশেষ উহাকে [বিশ্বাস বাচক ক্রিয়াবিধি] Super PsychoTechnology এর সহিত সমাবেশিত করে বহিঃপ্রকাশ নিশ্চিত করুন...

উদাহরণ হিসেবে এখানে একটি ব্যবস্থাপনা বিশ্লেষিত হলো:-

পার্থিব প্রায় প্রতিটি ধর্ম বিশ্বাসে আধ্যাত্মিকতা ও অলৌকিকতার বিশেষত্ব থাকলেও যুক্তিনির্ভর ব্যাখ্যা বা প্রমাণসই প্রক্রিয়ার উল্লেখ নেই [কেবলমাত্র বিশ্বাস ব্যতীত স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ প্রায়োগিক ক্ষেত্রে সত্যাসত্য বিচারের নির্দিষ্ট উপায় বা নিদর্শন] তাই কঠিন কার্যকরণ'কে যথাসম্ভব "উক্ত ধর্ম-বিশ্বাস এবং ধ্যান-ধারণা'তে উল্লেখিত তত্ত্ব ও তথ্যের ভিত্তিতে" ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে আপাত নিশ্চিতকরণ দ্বারা Neuro Parasite এর সুফল ও ব্যবহারিক সফলতা [হয়তো] Gain করা সম্ভব হবে; এমনই একটি Matter হলো "পানি পড়া" যেখানে ধর্মগুরু মুরুব্বি মরদ কি মাদীর ধর্মচিন্তন চেতনা দোয়া-কালাম কি তন্ত্র-মন্ত্র অথবা ম্যাজিক্যাল স্পেল যাই বলা হউক না কেন উহা আবৃত্তি করে [হয়তো উচ্চস্বরে নয়তো নিঃশব্দে অথবা কিঞ্চিৎ উচু-নিচু স্বর মিলিয়ে স্পষ্ট অথবা প্যাঁচালো প্যাটার্নে] পানি'তে ফু দেওয়া - অতঃপর সেই পানি পানে উদ্দেশ্য সফল হওয়া!

"পানি পড়া" বিষয়ে Neuro Parasite ব্যবহারে সফলতা লাভের পূর্বে কিছুটা হলেও ব্যাখ্যা অতি-আবশ্যক; উপরোক্ত "পানি পড়া" এর ক্ষেত্রে বিশ্বাসী ব্যক্তিগণ সেইসব ধর্মীয় গুরুর শরণাপন্ন হউন যার/যাদের প্রতি Faith [এই Faith এর স্বরূপ ভক্তি ও ভালোবাসায় মান্যতা] আছে - অতঃপর দোয়া-কালাম বা তন্ত্র-মন্ত্র অথবা ম্যাজিক্যাল স্পেল প্রভৃতি [সেইসব বিষয়ে যাদের মনে গভীর কিংবা নূন্যতম হলেও ভক্তি বিদ্যমান] আবৃত্তি [এমনভাবে আবৃত্তি যেন তাতে অজানা গোপনীতায় রহস্য মিশে থাকে - আর রহস্য আমাদের মনে জাগ্রত করে ভক্তি] করে পানিতে ফু [এই ফু এর বিশ্বাস এমন যেন উচ্চারিত দোয়া-কালাম বা তন্ত্র-মন্ত্র পানিতে মিশে গেল (যদিওবা আদতে উক্ত ব্যক্তির মুখের থুথু হতে কিছু অনুজীব পানিতে মিশলো)] দেওয়ার ফলে সেটা বিশেষত্ব'যুক্ত হলো [এই বিশেষত্ব হলো মূলত বিশ্বাস যুক্ত হওয়া আরকি]! অপরাপর ঐ বিশেষ (বিশেষত্ব'যুক্ত) পড়া পানি পানে সুস্থতা বা সফলতা লাভের কারণ হলো সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের [কিঞ্চিৎ আনকনশিয়াস মাইন্ডের দায় দেওয়া যায় বটে] বিশ্বাসের দরূণ Endrophins বা Dopamine এর মতো হরমোন নিঃসরণে শারীরিক বা মানসিক পরিবর্তন [ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই প্লাসিবো ইফেক্টের বহুবিধ ব্যবহারিক স্বরূপ]!

এখন আপনার অথবা এমন ব্যক্তি যার ঐরূপ মন্ত্র-তন্ত্র বা দোয়া-কালাম অথবা দৈত্য-দানব (যেমন জ্বীন-পরী কিংবা দেব-দেবী) প্রভৃতিতে বিশ্বাস আছে তার কোন বিশেষ প্রয়োজন [এমন বিষয় যা স্বাভাবিক চেতনায় যুক্তিহীনতা সত্ত্বেও কেবলমাত্র অবচেতন তাড়নার অভাবে সংঘটিত হচ্ছে না] ঐসবের দোহায় টেনে পানি ফু দিয়ে [যদি সম্ভব হয় তো আপনার আপন ফু দ্বারা পানিকে বিশেষায়িত করুন কেননা অপরের মুখের লালা গ্রহণ স্বাস্থ্যকর নয় তথাপি একান্তই আপনার নিজেকে ডেডিকেটেড পার্সন মনে না হলে অপরের ফু দেওয়া DW (D= Distilled W=Water)] গ্রহন করতে পারেন!

এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে বলা হলো:-

উপরোক্ত আলোচনায় পরিলক্ষিত হওয়া বিশ্বাসবোধ যদি বিজ্ঞানের লজিক জানায় আপনার অবচেতন অন্তরে বিচ্যুতির অবকাশ ঘটায় তথায় আপনার ক্ষেত্রে ফু দেওয়া পানি পান করেও হয়তো উপকৃত হতে পারবেন না সুতরাং অজ্ঞাত রহস্যের বান্দা না হয়ে সত্যের বাঁধনে শুধুমাত্র শুভকামনা জানানো বায়বীয় ফুঁৎকারেও Neuro Parasite আপনার প্রভূত Fantastic ঘটাতে খুবই সক্ষম!

NeuroBann - এক ভয়ানক সাইকোলজিক্যাল বন্ধনী!

NeuroBann

NeuroBann শব্দটা আধিখ্যেতায় আক্ষরিকার্থে দেশীয় ভাষাতে "বান" নামক এক কুসংস্কার [Parapsychological ফ্যাক্ট] বিষয়কে তিরস্কারপূর্বক Super PsychoTechnology এর ব্যবহার সুনিশ্চিত করার প্রয়াস মাত্র...

"বান মারা" বিষয়টিকে প্রত্যক্ষভাবে আমরা উপলব্ধি না করলেও হয়তো বয়োবৃদ্ধ মুরুব্বিয়ানা মানুষের গল্প-মুখে শুনে থাকবো। "বান" বা "বান মারা" বিষয়টির অর্থ এরূপ যাদু, টোনা, উচ্চাটন, মারণ, বশীকরণ, বান মারা, তাবিজ করা বা কুফরি যাদু প্রভৃতি তদুপরি পশ্চিমা দেশেও কিছু কুসংস্কারাপন্ন মানুষের মাঝে এরূপ চেতনা পরিলক্ষিত হয়; মোদ্দাকথা পুরো পৃথিবী জুড়েই প্রাচীন প্রথা বিবর্তিত হয়ে মানব মস্তিষ্কের কনশিয়াস আর সাবকনশিয়াসের ভারসাম্যহীনতায় সৃষ্ট বিশ্বাস-অবিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা আর কৌতূহল-রহস্যে এমন অলৌকিকতা বিভিন্ন নামে আর ভিন্ন ঢং - এ প্রশ্রয়প্রাপ্ত হয়। আর ঐরূপ কৌতূহলে অহেতুক ধুপে আগুন জ্বেলে দেয় মিথ-মিথ্যা, ধ্যান-ধারণা আর ধর্মের চেতনা!!!

যদিওবা মানব জীবনে ধর্মের তাৎপর্য্যপূর্ণতা বিদ্যমান তথাপি মুদ্রার অপর পীঠে অকারণ অযাচিত ও অযৌক্তিক ভীতিকর বিকৃত চেতনা যে মানব মস্তিষ্কের জন্য কতোটা কলংক সেটা বিজ্ঞানের গ্রাফে একটু অংক কষলেই বোঝা যায় - অপরাপর এরূপ বোঝার ভারে ভারাক্রান্ত অন্তরে এমনি এক ভয়ানক ব্যাধি [রোগ নয়] ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে আছে "বান" তথায় সার্বিকভাবে ব্ল্যাক ম্যাজিক!!!

স্বাভাবিকভাবে "বান" বিষয়টি বদনজর বা জাদু-মন্ত্র কিংবা অভিশাপ বা বদ-দোয়ার নিরীক্ষে সাইকোলজির সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায় এরূপ:-

সাধারণভাবে আপনি যখন কোন ব্যক্তির ওপর বিরাগ হউন এবং বিষয়টি কোনভাবে ঐ ব্যক্তির কান অবধি পৌছে তবে ব্যক্তিটির মস্তিষ্কে কিঞ্চিৎ হলেও নূন্যতম ভয়ের [ভীতি, আত্ম-অনুশোচনা, দুঃশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা প্রভৃতি এবং এইসকল হতে উৎপন্ন জটিল ম্রিয়মাণ মানসিক মিথস্ক্রিয়া] অনুভূতি জাগ্রত হয় [এজন্যই হয়তো অচেনা-অজানা বা বিখ্যাত মানুষদের দূরত্বের দোহায় টেনে বান দিয়ে প্রাণনাশ করা সম্ভব হয়না আরকি....] - ঐ অনুভূতিই মস্তিষ্কে হয়তো Responsive Signal তৈরীতে হরমোনের তরঙ্গ ছড়িয়ে দেয় - যা হুট করে হঠাৎ সহজ কাকতালীয় বিষয়টিকেও কঠিন কারিশমাতে মনের দুয়ারে কড়া নাড়তে বাধ্য করে; আর তখনই সেই ভয় হয়ে দাড়ায় ভৌতিক মাত্রার "বান" রূপে এক নিশ্চল মরণআঘাত [হয়তো কথাটা খুবই কমন ক্লাসিকাল সাহিত্যিক রূপক মনে হতে পারে তথাপি দৃষ্টান্ত স্বরূপে এটা সত্য নয় কি "অদ্যবধি সর্পদংশনে উল্লেখযোগ্য মৃত্যুর কারণ টক্সিন নয় বরং ভয়ের তাড়নায় হার্ট এট্যাক বা প্যানিক এট্যাক"]!

সরেশ বিষয়টি আরও একটু রসালো হয় যখন হালকা বায়বীয় বদ-দোয়া বা অভিশাপ করা ব্যক্তিটি অসুস্থ হয় কিংবা ধীরে ধীরে নিঃশেষিত হয়ে যায়; আরও মণ্ডামিঠাই'তে মিথের গল্প মধুর হয় যখন voodoo [এই voodoo-ই দেশী বান এর মোডিফাইড রূপ] তে একটা হ্যাংলা পাতলা জড় পুতুলের প্রাণবধে পিন (সূচ) ফুটিয়ে ফাতরামি [কালো জাদু ক্রিয়া বোঝাতে] ক্রিয়া সম্পন্ন হয়!

যাই হউক Super PsychoTechnology এই বিষয়টির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে কিছু ধারণা দিতে পারে যেমন (১) আপনি যদি কারোর দিকে বারবার বিরক্ত-বিরাগ নজরে তাকান তবে ঐ ব্যক্তিটির আপন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে মস্তিষ্কে অযাচিত আলোড়ন তৈরী হতে পারে- যা হয়তো তার Self Negative Intention উদ্ভবে জীবনাচরণ ব্যাহত করতে পারে! (২) আপনি কাউকে বারবার আর বারংবার ইনিয়ে বিনিয়ে বোঝান যে "তুমি তো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছো" তাহলে ঐ মানুষটিও হয়তো দ্রুতই অসুস্থ হয়ে যেতে পারে - তখনই তার মন পূর্বে করা আপনার মিথ্যা বাক্যের প্রতি সত্যতা প্রতিস্থাপনে Mental Statement তার Physical Strength কমজোর করে তুলবে [একই ঘটনা ঘটতে পারে স্বাস্থ্যের পরিবর্তে ব্যক্তি অবস্থা-অবস্থান অথবা ক্ষমতা-বিত্ত বা প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রভৃতি স্বাপেক্ষ]! (৩) "অহংকার পরিত্যাজ্য" এটা শুধুমাত্র সামাজিকতার উপদেশ নয় বরং অহংকার আমাদের অন্তরে নীরব সূক্ষভাবে "অকারণ ভবিষ্যত ভীতি" এর বীজ বপন করে যা একসময় মহীরুহ এর আকার ধারণ করে; অজ্ঞাত "ভয়" বড্ড ভয়ংকর! (৪) কালো জাদু করা পুতুলের শরীরে সূচ ফুটানো মনের কৌতূহলের কলকব্জার আওয়াজে আত্ম-প্রবঞ্চনা কি আত্ম-সান্ত্বনাতে পাওয়া এমনি অনুভূতি যা আপনাকে এনে দেয় একরূপ ঘৃণিত স্যাটিসফেকশন; পক্ষান্তরে অন্তরে লালিত লেলিহান লালসা বা বাসনার [Bad Wish] এর কদাচিৎ বা কাকতালীয় বাস্তবরূপ ঘটতেও পারে - যা এনে দেয় মিথের উপর মিথ্যা বিশ্বাস মাত্র! (৫) মিথের মিথ্যা বদদোয়া বা অভিশাপ আকাশে আছাড় খেয়ে আপনার ওপর পতিত হয়না যদিনা আপনার আপন ব্রেইনে ভয়ের বিস্তর বিস্তারণ উপস্থিত থাকে!

সবিশেষ এটা বললে হয়তো অত্যুক্তি করা হবে না যে এক প্লাসিবো ইফেক্ট যদি মস্তিষ্কের মায়াজালে হরমোনের জোয়ারে সুস্থ প্রাণ সৃষ্টি করে তবে বিপরীত ক্রিয়া তথা প্রতিক্রিয়ায় ভাটার টানে প্রাণনাশ কি সর্বনাশ হওয়া অলৌকিক নয় অন্তত - অন্তরে [ব্রেইন বোঝাতে] লজিক থাকলে ল্যাজামুড়ো হতে হয়না!

আসুন আপাত খেলার ছলে Mind Download প্রক্রিয়া শিখে নিই!

Mind Download

মানব মন (Mind) তথা Human Brain এর ক্রিয়াবিধি (Activities) যেমন অত্যাশ্চর্য বিচিত্র তেমনি অসীম বিস্তৃত সুতরাং সহজভাবে সাধারণ খাতা-কলমে কিংবা ড্রাইভে আমাদের ব্রেইন তথা মন (Mind) এর আদ্যোপান্ত সংরক্ষণ (Save) করে রাখা নিশ্চয়ই সহজ সম্ভবপর নয় - তথাপি আপাতভাবে সাইকোলজিক্যালি আমাদের মনের নিত্য আচরণ - চরিত্র ও প্রকৃতিগত তথ্যসমূহ দ্বারা প্রতিকৃতি তৈরীর অন্তত প্রয়াস নিতে পারি [মনে রাখা উচিত হবে যে এটি একদমই পরম নয় বরং সময়, অবস্থা, অবস্থান, পরিবেশ, পারিপ্বার্শিকতা প্রভৃতির স্বাপেক্ষে খুবই আপেক্ষিক]। আমরা কিছু প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে [নিজেই নিজেকে উদ্দেশ্য করে নিজের মন হতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রাপ্ত সত্যাসত্য উত্তর সমূহ দ্বারা] আপন মনের প্রতিকৃতি তৈরী করবো অতঃপর সেইসব তথ্য (Data) QR Code (Quick Response Code) দ্বারা সংরক্ষণ করে রাখতে পারি।

Mind Download Method

আসুন শুরু করা যাক...

(1) বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা'র প্রতি আপনার মানসিকতা কেমন?

(A) কট্টর বিজ্ঞান পন্থী এবং বিজ্ঞান প্রেমী (B) বিজ্ঞান মানেন তবে যেটা আপন বিশ্বাস বিরুদ্ধ সেই বিষয়ে নিশ্চুপ থাকেন (C) বিজ্ঞানের অবদান উপভোগ করলেও মোটের ওপর বিজ্ঞান মানতে নারাজ!

(2) আপনি কি সবকিছুই যুক্তি দিয়ে যাচাই করতে প্রয়াসী হউন?

(A) কট্টর যৌক্তিক (B) মোটামুটি যৌক্তিক (C) যৌক্তিকতা খুব একটা ভালো লাগে না!

(3) প্রবলেম সলভিং এর বিষয়ে আপনার মানসিকতা কেমন?

(A) যতোক্ষন না অবধি প্রবলেম সলভ করতে পারছেন ততোক্ষন লেগে থাকেন (B) বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর ব্যর্থ হলে হাল ছেড়ে দেন (C) "আপনাকে দিয়ে হয়তো সম্ভব না" এমনটা ভেবে শুরুর দিকেই নিস্তার লাভ করেন।

(4) আপনার কি ম্যাথমেটিকস ভালো লাগে?

(A) খুবই ভালো লাগে (B) মোটামুটি ভালো লাগে (C) একদমই ভালে না।

(5) সময় বা টাইম ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে আপনার Activity কেমন?

(A) সবসময় টাইম রুটিন মেইনটেইন করেন (B) টাইম রুটিন থাকলেও ইচ্ছাকৃত অথবা অযুহাতে মেইনটেইন করা হয়ে উঠে না (C) একদমই টাইম রুটিন ফলোআপ করতে ইচ্ছে হয়না বরং পারিপ্বার্শিকতার স্বাপেক্ষে সময় প্রবাহে নিজেকে নিবেদিত করেন।

(6) আপনার ধৈর্য্য ও অধ্যবসায় কেমন বলে আপনি বিবেচনা করেন?

(A) অত্যাধিক (B) মোটামুটি (C) খুব বেশী নয়।

(7) একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি আপনার অবিচলতা কেমন?

(A) প্রখর এবং অটুট (B) স্বাভাবিক তথাপি খুব একটা ফোকাস ধরে রাখতে পারেন না (C) নিয়ত বিক্ষিপ্ত মানসিকতা।

(8) আপনি কি উচ্চাভিলাষী এবং নিজেকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন?

(A) এক্সট্রিম (B) মোটামুটি (C) নাহ...বরং অলীক কল্পনা ভেবে নিজেকে আত্ম-প্রবোধে সীমাবদ্ধ রাখেন!

(9) আপনি কতোটুকু আবেগী [Emotional] বলে নিজেকে মনে করেন?

(A) খুবই আবেগী (B) মোটামুটি আবেগী (C) খুব একটা আবেগী নয় বলেই মনে হয়।

(10) আপনি কতোটা স্পষ্টভাষী?

(A) সর্বদাই স্বচ্ছ ও স্পষ্টভাষী (B) মোটামুটি (C) খুব একটা স্পষ্টভাষী নন।

(11) আপনি কি মিষ্টভাষী?

(A) সর্বদাই মিষ্টভাষী (B) ক্ষেত্রবিশেষে মিষ্টভাষী কিংবা কর্কশ (C) সচরাচর কর্কশ।

(12) অন্যকে বিশ্বাস করার বিষয়ে আপনার মনোভাব কেমন?

(A) সর্বদাই খুবই সন্দেহ প্রবণ মানসিকতা (B) যাচাই বাছাই করার পর আস্থাশীল হউন (C) সহজেই বিশ্বাস করে ফেলেন।

(13) আপনার প্রিয়জনকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে আপনি নিজে কতোটা ডেডিকেটেড বলে মনে হয়?

(A) সম্পূর্ণটাই উজার করে দিতে চান (B) ভালোবাসেন বটে তবে স্বার্থ-সম্পর্কের নিক্তিতে ওজন করে (C) শুধুই আপন স্বার্থ ও প্রতিদান নিয়ে ভাবেন!

(14) শরীরের রং বা বর্ণ এর ক্ষেত্রে আপনার মানসিকতা কেমন?

(A) সর্বদাই ফর্সা রং পছন্দ করেন (B) শরীরের বর্ণ বিবেচ্য নয় (C) কালো বর্ণ মোটেই পছন্দ হয়না - ঘৃণা বা নেগেটিভ মানসিকতা কাজ করে।

(15) প্রেম - ভালোবাসা অথবা প্রণয়ের ক্ষেত্রে আপনি কোন ফ্যাক্ট'টি গুরুত্ব দেন?

(A) সৌন্দর্য (B) সৌন্দর্য ও মেধা (C) বিশেষভাবে শুধুই মেধা।

(16) আপনি কেমন প্রতিক্রিয়াশীল?

(A) খুবই (B) মোটামুটি (C) ক্ষীণ।

(17) আপনার রাগ ও ক্রোধ এর মাত্রা কেমন?

(A) অত্যাধিক (B) স্বাভাবিক - মোটামুটি (C) মোটেই খুব বেশী নয়।

(18) আপনি কি ধীর-স্থির ও ঠান্ডা মাথার (Cool Mind) এর মানুষ?

(A) খুবই (B) মোটামুটি (C) মাথা গরম তথা Hot Tempered মানসিকতার।

(19) আপনি কি সূক্ষ ও কূটকৌশলী?

(A) এক্সট্রিম এবং দক্ষ (B) মোটামুটি (C) মোটেই না।

(20) আপনার মাঝে লোভ-লালসার মাত্রা কেমন?

(A) খুবই (B) সহজাত স্বাভাবিক (C) খুব একটা নেই বললেই চলে।

(21) আপনার কি নিজেকে স্বার্থপর বলে মনে হয়?

(A) হ্যা (B) স্বাভাবিক (C) একদমই না।

(22) আপনি কেমন এগ্রেসিভ?

(A) সর্বদাই এগ্রেসিভ (B) ক্ষেত্রবিশেষে এগ্রেসিভ তবে সচরাচর স্বাভাবিক (C) খুবই শান্ত।

(23) আপনার কি মুড সুইয়িং হয়?

(A) প্রায়শ (B) মাঝে-মধ্যে (C) কদাচিৎ কিংবা মুড সুইয়িং আত্ম-উপলব্ধি করতে পারেন না।

(24) আপনি কি কল্পনার সাগরে ডুব দিয়ে থাকতে ভালোবাসেন?

(A) সিংহভাহ সময় ফ্যান্টাসিতে ডুবে থাকেন (B) ফ্যান্টাসি ভালো লাগে তবে সজাগ-সচেতন বটে (C) মোটেই না...পুরোদস্তুর বাস্তববাদী।

(25) আপনার কি ভ্রমণ ভালো লাগে?

(A) খুবই (B) মোটামুটি (C) মোটেই না।

(26) আপনার কি এডভেঞ্চার ভালো লাগে?

(A) খুবই (B) মোটামুটি (C) একদমই না।

(27) আপনার কি শৃঙ্খলা ভালো লাগে নাকি মুক্ত থাকতে ভালো লাগে?

(A) একদম মুক্ত ও স্বাধীন (B) স্বাভাবিক (C) কট্টর শৃঙ্খলা।

(28) আপনার কি গান বা সুর ভালো লাগে?

(A) খুবই ভালো লাগে (B) মোটামুটি (C) একদমই না।

(29) আপনার কি একাকীত্ব ভালো লাগে নাকি মুখর পরিবেশ?

(A) প্রায়শই একাকীত্ব (B) ক্ষেত্রবিশেষে একাকীত্ব এবং মুখর পরিবেশ (C) মুখর পরিবেশ এবং আড্ডা।

(30) আলো - অন্ধকারের প্রতি আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন?

(A) অন্ধকার ভালো লাগে এবং স্বস্তিবোধ করেন (B) বিশেষ প্রতিক্রিয়া নেই (C) আলোতে কমফোর্টে ফিল করেন এবং অন্ধকারে অস্বস্তিবোধ করেন।

(31) আপনি কি অন্তর্মুখী নাকি বহির্মুখী?

(A) অন্তর্মুখী (B) বহির্মুখী (C) ঠিকমতো নিজেই বুঝে উঠতে পারেন না...

(32) আপনার কি নিজেকে কোনরূপ সাইকোপ্যাথ বলে মনে হয়?

(A) হ্যা (B) সঠিক বুঝে উঠতে পারেন না (C) সুস্থ ও স্বাভাবিক।

(33) আপনার ভেতর প্রথাগত বিশ্বাস [যেমন ধর্ম - আধ্যাত্মিকতা প্রভৃতি] কেমন?

(A) খুব প্রখর (B) সচরাচর মোটামুটি (C) একদমই নয়।

(34) আপনি কি কালো জাদু / ব্ল্যাক ম্যাজিক ইত্যাদিতে বিশ্বাসী?

(A) তীব্রভাবে বিশ্বাসী (B) অবিশ্বাসী নন তবে ঘটনার পিছনে যুক্তি ও কারণ অনুসন্ধান করেন (C) একদমই বিশ্বাসী নন।

(35) আপনি নিজেকে কতোটা সৎ বলে মনে করেন?

(A) সর্বদাই অভ্যন্তরীনভাবে সৎ থাকার চেষ্টা করেন (B) বাহ্যিকভাবে সততা বজায় রাখার চেষ্টা করেন তবে সুযোগ এলে প্রলুব্ধতায় অসৎ হউন (C) সর্বদাই শঠ এবং ধূর্ত'টা মাথায় ঘুরে...

(36) কার্পণ্যতার ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান?

(A) একদমই কৃপণ নয় বরং হাতখোলা (B) স্বাভাবিক মিতব্যয়ী (C) খুবই কৃপণ।

(37) আপনার কি কোনরূপ মাদকীয় আসক্তি আছে?

(A) হ্যা (B) মাঝে-মধ্যে (C) মোটেই না!

(38) আপনার কেমন স্বাদ বিশেষভাবে পছন্দ?

(A) মিষ্টি (B) টক (C) ঝাল।

(39) বিপরীত লিঙ্গের কাউকে দেখা মাত্রই আপনার ভেতর কেমন মানসিকতা ক্রিয়াশীল হয়?

(A) যৌনতা (B) পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ভাবনা (C) স্বাভাবিক চেতনা।

(40) যৌনাচারের প্রতি আপনার মানসিকতা কেমন?

(A) এক্সট্রিম (B) সহজাত স্বাভাবিক (C) বিকৃত!

(41) মিথ্যা বলার পর আপনার অনুভূতি?

(A) খুব খারাপ লাগে (B) খারাপ লাগে তবে সেটা স্বাভাবিক বা উচিত বলেই মনে হয় (C) নূন্যতম খারাপ লাগার অনুভূতি তৈরী হয়না!

(42) অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজে আপনার মানসিকতা কেমন?

(A) আত্ম-অনুশোচনাতে ভুগেন (B) খারাপ লাগে তবে ততোটা অনুশোচনা হয়না (C) পৈচাশিক আনন্দ লাভ করেন!

(43) সবাই যেটাতে সম্মত সেই বিষয়ে আপনার অভিমত কেমন হয়?

(A) সবাই যেহেতু সম্মত তাই আপনিও সম্মত হবেন (B) সম্মত হবেন তবে একটু যাচাই বাছাই করতে চাইবেন (C) একদমই না...সর্বদাই সন্ধিৎসু ও সন্দিগ্ধ মানসিকতায় জাস্টিফিকেশন করেন।

(44) আপনার ভেতর ভয়ের অনুভূতির মাত্রা কেমন?

(A) মোটেই না বরং মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হউন (B) বাহ্যিকভাবে ভীত না হলেও মোটামুটি ভয় পান (C) খুবই ভীতু স্বভাবের।

(45) আপনার কি ট্রাজেডি পছন্দ নাকি কমেডি?

(A) ট্রাজেডি (B) কমেডি (C) অল্পবিস্তর ট্রাজেডি ও কমেডি উভয়ই।

(46) মোটিভেশন আপনার ক্ষেত্রে কেমন ইফেক্ট করে?

(A) দীর্ঘস্থায়ী এবং প্রখরভাবে (B) ক্ষণস্থায়ী (C) মোটেই না।

(47) স্বপ্ন সফলতায় এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আপনি কতোটুকু প্রত্যয়ী?

(A) এক্সট্রিম - প্রয়োজনে যা করতে হয় তাই করবেন (B) চেষ্টা করবেন তবে একাধিকবার ব্যর্থ হলে হাল ছেড়ে দেন (C) ব্যর্থ হলেই আশাহত হয়ে হাল ছেড়ে দেন!

(48) আপনার প্রত্যাহিক জীবনে আপনি বুদ্ধির ব্যবহারে কতোটুকু পারদর্শী বলে মনে করেন?

(A) প্রখর ও তীক্ষ্ণ (B) মোটামুটি (C) খুব বেশী নয়।

(49) আপনার ভাবনা-চিন্তা ও কল্পনার পরিধি কতোটুকু বলে বিবেচনা করেন?

(A) সুদূরপ্রসারী ও বিস্তৃত (B) মোটামুটি (C) সীমিত।

(50) আপনার চিন্তা-চেতনা এবং এক্টিভিটি কতোটা দ্রুত অর্থাৎ Fast বলে মনে করেন?

(A) খুব (B) মোটামুটি (C) শ্লথ

এখন আপনার মানসিকতা অনুযায়ী আপনার উত্তর সমূহ তথা Mind Data ক্রমান্বয়ী এমনভাবে Specify করুন; যেমন:- A B C A B C A B C A B C A B C A B C A B C A B C A B C A B C A B C A B C A B C A B C A B C A B C A B

এবার Text আকারে নিম্নের ঐ ডাটাসমূহ QR Code এ সহজেই কনভার্ট করে নিন।

Caution

লক্ষ্য করুন: আপনার Mind Data বা QR Code এটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত Asset সুতরাং এটির সুরক্ষা প্রদান করা একান্তই আপনার দায়িত্ব কেননা যদিওবা এটাকে আপাতভাবে সাধারণ তথ্য মনে হতে পারে তথাপি এটা আপনার অভ্যন্তরীন ব্যক্তি মানসিকতার Prime Identification পক্ষান্তরে Psychological Key of Personality বহন করে- সুতরাং ব্যক্তি সচেতনতা কাম্য।

আসুন রূপকভাবে Mind Transplantation প্রক্রিয়া শিখে নিই!

Mind Transplantation

মানবদেহের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতোই মানব মন (Human Mind) প্রতিস্থাপন তথা Transplantation যদিও অদ্যবধি Scientifically সুনিশ্চিত নয় তবুও হয়তো সম্মুখ ভবিষ্যতে সফলভাবে সম্ভবপর হবে - এমনটা খুবই আশা রাখা যায়; তাহলে হয়তো সার্বিক দিক থেকে মানব সমাজ তথা গোটা পৃথিবীই আমূল পরিবর্তিত হবে এবং পজেটিভলি ইউটিলাইজেশনের মাধ্যমে অভূতপূর্ব উৎকর্ষ সাধিত হবে।

আপাতভাবে আমরা Psychologically মানব মন (Human Mind) প্রতিস্থাপন (Transplantation) করার প্রয়াস নিতে পারি - আপেক্ষিকভাবে হলেও হয়তো বিষয়টি Amazing অভিজ্ঞতায় আপনার জীবনের স্বপ্ন সফলতায় Effective এবং সুন্দর ও কাঙ্খিত লাইফ স্টাইল লাভে Successful হতে পারবেন।

Mind Transplantation Method

সর্বপ্রথম আপনার আইডল বা আইডিয়াল পার্সন [সেই Targeted ব্যক্তি যার অনুরূপ ব্যক্তিত্ব তথা মন-মানসিকতা Achieve করতে চাচ্ছেন] সুনিশ্চিত করুন >>> এখন ঐ আইডিয়াল ব্যক্তির সামগ্রিক ব্যক্তিত্ব যথাসম্ভব গভীর ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করুন [ব্যক্তিত্ব পর্যবেক্ষণ/নিরীক্ষণ এর ক্ষেত্রে আপনি উক্ত ব্যক্তির নিত্য (১) ব্যবহার (২) আচার-আচরণ (৩) কথা-বার্তা (৪) চিন্তা-চেতনা (৫) দর্শন-ভাবনা (৬) মতাদর্শ (৭) জ্ঞান-বুদ্ধি (৮) ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া (৯) আবেগ-অনুভূতি (১০) প্যাশন-প্রফোশন প্রভৃতি বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীন বিষয় সমূহের তথ্য (Data) সংগ্রহ করুন। অপরাপর Mind Download সেকশন হতে আপনি যদি আপনার আইডিয়াল পার্সনের Mind Data সম্পর্কে অবগত থাকেন তবে সেইসকল তথ্য সমূহ ইউটিলাইজেশনের মাধ্যমে কিঞ্চিৎ হলেও Effective Efficiency লাভ করতে পারেন। এছাড়াও প্রত্যক্ষভাবে সরাসরি চেনা-জানা অসম্ভব এমন আইডিয়াল পার্সনের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট - সোস্যাল মিডিয়া ইত্যাদি হতে Remotely Data Collection করা খুব একটা দুরূহ বিষয় অন্তত নয় - তথাপি সর্বদাই বাহ্যিক Show Off ব্যতিরেকে অভ্যন্তরীন Root Personality এর প্রতি মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেওয়া হলো তবে সর্বক্ষেত্রেই Negative Intention & Behavior সমূহ পরিত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া রইলো] >>> এখন প্রাপ্ত/উপলব্ধ সকল তথ্য'সমূহ এমনভাবে প্রক্রিয়াকরণ করুন যেন সেইসব বিষয়গুলো আপনার ন্যাচারাল লাইফে সঠিকভাবে ইমপ্লিমেন্ট করতে পারেন [প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে আপনাকে নিজের লাইফের বিচার - বিশ্লেষণ - সংশ্লেষণ - বিয়োজন - সংশোধন - উন্নয়নের ক্ষেত্রে সময়, পরিবেশ ও পারিপ্বার্শিকতার স্বাপেক্ষে ঐসকল তথ্য'সমূহের সুষ্ঠু এবং নিয়ন্ত্রিত প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে] >>> ইমপ্লিমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় প্রায়োগিক প্রেক্ষাপটে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্যশীল হয়ে নিয়ত প্র্যাকটিস তথা অনুশীলন করতে হবে তবেই আপনি আপেক্ষিকভাবে সফলকাম হতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায় [ব্যক্তি চরিত্র ও আচরণ কখনোই একদিনে আত্মস্থ এবং পরিস্ফুটন সুনিশ্চিত করা হয়তো সম্ভবপর নয় তথাপি অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অবশ্যই অসম্ভবও অন্তত নয়]।

Caution

বিশেষভাবে লক্ষণীয় Mind Transplantation প্রক্রিয়া আপনার আপন স্বকীয়তা হরণ করতে পারে যা আপনার স্বাভাবিক জীবনাচরণে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে - তাই উপরোক্ত বিষয়টি যতোটা সম্ভব সুনিয়ন্ত্রিতভাবে ইউটিলাইজ করার চেষ্টা করবেন [আপনার উৎকর্ষিত ও উন্নত লাইফ স্ট্যাইল প্রাপ্তিতে কেবলমাত্র যতোটুকু প্রয়োজন এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ ততোটুকুই সংশ্লেষণ করুন] উপরন্তু এই Mind Transplantation প্রক্রিয়ায় "আদর্শিক জীবনাচরণ" ভিত্তি করে Mediation এর সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে আপনি Self Rehabition দ্বারা আপনার আপন জীবনপ্রবাহের প্রভূত উন্নয়ন সাধন করতে পারেন Star আরও উৎকর্ষিত PsychoTechnological Mind Transplantation প্রক্রিয়ার দ্বারা অপরাধী ও অপরাধপ্রবণ মানসিক ব্যক্তিদের শাস্তির পরিবর্তে সংশোধনের মাধ্যমে সুস্থ মানসিক অবস্থা (Mental State) প্রদান করে সুন্দর এবং সুরক্ষিত জীবনাচরণ সুনিশ্চিত করা সম্ভব।

Time Psychology এর মাধ্যমে আপনার নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করুন!

Time Psychology

Time এর সাথে Human Psychology অঙ্গাঅঙ্গি'ভাবে জড়িত; যদিওবা অন্তর্হিত সুপ্ত তাৎপর্যবাহীতার দরূণ আমাদের মস্তিষ্ক (Brain) সিংহভাহ সময়ে Time Portion উহ্য রাখে।

বিষয়টা উদাহরণ দিয়ে খুব সহজেই বোঝানো যেতে পারে "ধরুন আপনি একটি আপেল খাওয়ায় জন্য ছুড়ি দিয়ে ফল'টি কাঁটতে গিয়ে অসাবধানতা বশত হঠাৎ আপনার আঙ্গুল কেটে ফেললেন" তখন "আপনার আঙ্গুল কেটে যাওয়া" ইস্যু নিয়েই আপনি সহজাত বিচলিত রইবেন; তথাপি ঠিক "কোন সময়" - এ আঙ্গুল কাটলো সেটা কিন্তু Specification করবেন না [বস্তুত ঐ মুহূর্তে Time Specification করাটা অগুরুত্বপূর্ণ বিধায় Human Brain সেটা Implied করেছে]।

আবার বিপরীতভাবে আমাদের মস্তিষ্ক Time Specification বিষয়টিকে ক্ষেত্রবিশেষে বিশেষ প্রায়োরিটি প্রদান করেও থাকে - যেমন উদাহরণস্বরূপ "কোন আনন্দ বা খুশীর মুহূর্তের স্মৃতিচারণে আমাদের মনে ঐ সময়-কাল গেঁথে থাকে/প্রয়াত প্রণয়ে পূর্বের রোমান্টিক রোমাঞ্চকর স্মৃতির সময়কাল/বিশেষ ঘটনার সময়কাল ইত্যাদি" তদুপরি এমনটা হয়তো অনেক সময় অনেকের মনে হতে পারে যে "ঠিক এই সময় বা মুহূর্ত'টি হয়তো আপনার জীবনে ইতিপূর্বেও কখনো এসেছিলো..." যাকে "দেজা-ভ্যু" নামে অভিহিত করা হয়।

কট্টর পদার্থ বিজ্ঞান তথা ক্লাসিক্যাল মেকানিক্সে Time বা সময় হলো একটি মাত্রা (Dimension) মাত্র; যেমন একখানা আস্ত ইটের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা এই তিনটি মাত্রা (Dimension) বিদ্যমান - তেমনি কোন মুহূর্তে ইট'টি কেমন অবস্থা-অবস্থান ও প্রকৃতিতে বিরাজমান সেটার নির্দেশক মাপকাঠি হলো "সময়"।

Time বা সময় নামক মাত্রা (Dimension) এর সহিত Human Psychology এর সম্পর্ক নির্ধারণে আমরা Time Psychology এর অবতারণা করবো [সম্পর্ক-সমীকরণ নির্ধারণের পূর্বে আমরা কিছু বিষয়ে একটু আলোকপাত করি (১) হাসি-আনন্দ বা সুখ-খুশীর সময় যেন দ্রুত চলে যায় বা ফুরিয়ে যায় (আপাতভাবে সময়ের অপেক্ষাকৃত ত্বরিত দ্রুতি মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে আপেক্ষিকভাবে সময়ের মান সুনির্ধারিত) Star কষ্টের সময়গুলো কেমন যেন ভারী অনুভব হয় (বিষণ্ণতার দরূণ) (২) সময় চলমান - তাকে আটকে রাখা বা সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব নয় এবং স্বাভাবিক'ভাবেই সময় যাত্রা হয় বর্তমান হতে সম্মুখ ভবিষ্যতের দিকে (৩) পরমভাবে সময়ের বর্তমান বলে কিছু নেই বরং অতীত এবং ভবিষ্যত'ই অপেক্ষাকৃত অধিক সত্য]।

সময়ের সহিত Human Psychology এর সম্পর্কের স্বরূপ হলো "সময় প্রবাহ স্বাপেক্ষে ইমোশন এর তীব্রতা ব্যস্তানুপাতিক" অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ে ইমোশন যতোটা তীব্র থাকবে সময়ের পরিক্রমায় Brain সেটার তীব্রতার মাত্রা ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলবে [তদুপরি স্মৃতি আকারে উক্ত ইমোশনের ডাটা মস্তিষ্কে জমা থাকতে পারে এবং Certain Time - এ উহা জাগ্রত ও সক্রিয় হওয়া নিতান্তপক্ষে অসম্ভব নয়]; তাইতো উদাহরণস্বরূপ কেউ যদি কোন ঘটনা স্বাপেক্ষে উত্তেজিত হয়ে তাৎক্ষণিক আত্মহনন করতে উদ্ধত হয় তবে কিছু সময়ের অবসরে হয়তো তার মানসিকতা আপনা-আপনি পরিবর্তিত (স্থির ও শান্ত) হতে পারে; তথাপি স্থায়ীভাবে ঐ কুচিন্তা মোচনে উপযুক্ত সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলিং আবশ্যক!

যদিওবা Time Psychology - এ "সময়ের সহিত ইমোশনের তীব্রতা ব্যস্তানুপাতিক" [সম্ভবত সুষম ব্যস্তানুপাতিক নয়] তথাপি "সময়ের সাথে সাথে ক্ষোভ সমানুপাতিক" [সম্ভাবত সুষম নয়] যেমন উদাহরণস্বরূপ কোন ব্যক্তির ওপর আপনার রাগ বা অভিমান পুষে রাখতে রাখতে সেটা এক সময় ক্ষোভে রূপ নিবে এবং এরপর চরমভাবে উহার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে।

সুতরাং আবেগী হয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং চুপচাপ অন্তর্মুখী মনের মাঝে প্রতিক্রিয়া নিশ্চুপ পুষে রাখা উভয়ই পরিহার করা শ্রেয়তর!

এছাড়াও কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি আপনি যতোটা সময় ব্যয় করবেন সেটা আপনার মস্তিষ্কে ততোটাই গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করবে এবং নিগূঢ়ভাবে আপনার ন্যাচারাল লাইফ'কে প্রভাবিত করবে।

অপরাপর আপনার নিত্য এক্টিভিটি যতোটা Fast (দ্রুত) হবে আপনার জন্য সময়ের পরিবর্তন তথা গতিশীলতা [সাইকোলজিক্যালি আপেক্ষিক পর্যবেক্ষণ মাত্র] ততোটাই পরিলক্ষিত হবে।

পরিমাপ (Measurement) যেমন গুরুত্বের বিচারে আমাদের প্রত্যাহিক জীবনের অনন্যতর অত্যাবশ্যকীয় উপাদান (Element) - এ পরিণত হয়েছে তেমনি আপনি যদি আপনার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে "সময়" নামক ইউনিট'কে একাত্ম করতে সক্ষম হউন তবে সাইকোলজিক্যালি সময়ের প্রকৃতি (Nature of Time) উপলব্ধি করতে পারবেন এবং আপনার জীবনে সম্ভাবত নতুন এক মাত্রা যুক্ত হবে।

সময় নামক মাত্রা আমাদের জীবন'টাকে তাৎপর্যবাহী করে তুলে তাইতো সময় যাত্রা'কে সম্ভব উপভোগ করার চেষ্টা করুন!

চলুন Psychological Time Travel এ অতীত হতে ভবিষ্যতে ঘুরে এসে বর্তমান সাজাই!

Psychological Time Travel

আপনার স্বপ্ন সফলতায় সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম; তাই আসুন আমরা রূপকভাবে একটু সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেল করে আসি...

সময়ের 'অতীত' ভ্রমণ (Access অর্থে) এমন হবে যেন তা আপনি উপলব্ধি (Realization অর্থে) করতে পারবেন তবে তা নিয়ন্ত্রণ (Control) করতে পারবেন না; 'ভবিষ্যত' ভ্রমণে আপনার নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতা থাকলেও আক্ষরিকভাবে তা প্রত্যক্ষ রিয়েলাইজ করা সম্ভব হবে না; অপরাপর 'বর্তমান' আপনার পক্ষে রিয়েলাইজ ও নিয়ন্ত্রণ উভয়ই করা সম্ভব - যা আপনি সময়ের অতীত ও ভবিষ্যতের রূপক সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেল হতে প্রাপ্ত Lesson সঠিকভাবে ইউটিলাইজেশন মাধ্যমে Super Successful হতে পারেন!

অতীত ভ্রমণে আপনাকে সবার আগে নির্দিষ্ট করতে হবে যে আপনি ঠিক কোন সময়ের অতীত Access করতে চাচ্ছেন - সর্বাগ্রে ঠিক ঐ সময়'টিকে স্পেসিফাইড করুন >>> এখন উপযুক্ত Environment [সবচেয়ে Preferable হলো মধ্যরাত বা শেষরাতের শান্ত নিঃস্তব্ধ পরিবেশ]- এ আপনার শরীরটাকে শিথিল করে দুই চোখ বন্ধ করে আপনার ঐ অতীতের বিষয়গুলি কল্পনাতে রোমন্থন করতে প্রয়াসী হউন [বিষয়টা এমন নয় যে এটা সচারাচর শিথিল অতীত স্মৃতিচারণ বরং সচেতনভাবে অবচেতন মনের এমন ক্রিয়া যেন তাতে আপনার উক্ত অতীত যথাসম্ভব জীবন্ত ভাবে আপনার সম্মুখে Flashback হয়] >>> এখন আপনার ঐ সেই অতীতের ঘটনাবলী যা আপনার এখন (বর্তমান সময়ের স্বাপেক্ষে) মনে হয় যে "অমুক করলে হয়তো তমুক হতো" সেই বিষয়গুলো Mark করুন [এমনভাবে বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে হবে যেন অহেতুক আবেগ নয় বরং যথাসম্ভব যৌক্তিকতা থাকে] >>> ঐ সকল Marked বিষয়গুলো স্পেসিফিকভাবে Note করে 'ব্যক্তি' হিসেবে আপনার স্বাপেক্ষে Knowledge ও Wit ব্যবহার করে Logic দ্বারা আপনার জন্য Learning Lesson সমূহ তৈরী করুন [এই প্রক্রিয়ার Accession হয়তো আপনাকে Emotional করে তুলতে পারে - যেখানে আপনার Control আক্ষরিকভাবেই নেই; তথাপি আপনি যে Learning Lesson সমূহ পেয়েছেন সেটা ভেবেও স্বান্তনা খুজতে পারেন। বস্তুত স্বান্তনা মানে শুধুই মনের প্রবোধ মানাতে মিথ্যা ছলনা নয় - স্বান্তনা হলো স্বস্তি লাভের অনন্য উপায়; যেখানে কষ্টের নিরাময়ক আনন্দ নয় বরং প্রশান্তিকর স্বান্তনা মাত্র] >>> এখন ঐ সকল Learning Lesson আপনার ভবিষ্যত (সময়) পরিকল্পনার কোন কোন Scope - এ ব্যবহার করা যায় সেটা নিয়ে ভাবুন [এই ভাবনার বিকাশ কোন অবাস্তব আকাশকুসুম কল্পনা নয় বরং প্রতিটি ক্ষেত্রে আবশ্যক যৌক্তিকতার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে আপনার অনাগত ভবিষ্যতের উৎকর্ষতা সাধনের প্রচেষ্টা] >>> এই প্রচেষ্টায় আপনার কল্পনার চিন্তাধারা এমন হবে যেন আপনি আপনার 'ভবিষ্যত' এক Simulation চিত্রে "আপনি কি করলে তার ফলাফল ঠিক কেমন হতে পারে?" সেটা নিয়ে Logically আপন মনে খেলবেন - সেই খেলায় যদি ভুল হয় তবে Undo করে আবার নতুন করে খেলার ছক সাজাবেন যেন চূড়ান্তভাবে ভবিষ্যৎ বিজয় সুনিশ্চিত হয় >>> আপনার কল্পনার প্রতিটি ভাবনার স্বাপেক্ষে এমনভাবে নিজেকে অভিযোজিত করায় সংকল্প গ্রহণ করবেন যেন "আপনি তো ভবিষ্যৎ জানেন'ই [By Logical Hypothesis] - এখন সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পূর্ব হতেই প্রস্তুত হচ্ছেন মাত্র [By Learning Lesson & Logic]" >>> সবিশেষ মধ্যখানের এই 'আপনি' আর আপনার 'বর্তমান' উভয়ের জন্যই Super Successful হতে সঠিক সময়-জ্ঞানে আপন Brain এর সর্বোত্তম ব্যবহার সুনিশ্চিত করুন!

Magic Mind এর মাধ্যমে আপনার মনের সুপ্ত অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা লাভ করুন!

মানব জীবন (Human Life) যেমন বৈচিত্র্যময় তেমনি মানব মন (Human Mind) তথা Brain ততোই বিস্ময়কর - তদুপরি এই অদ্ভুত বৈচিত্র্যতার অনেকটাই হয়তো অদ্যবধি আমাদের অজানা তাইতো সাইকোলজিক্যালি কখন-কিভাবে আমাদের মন (Mind) ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায় তথায় মস্তিষ্ক (Brain) কেমন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় কি মিথস্ক্রিয়া সংঘটন করে সেটা আমরা পরমভাবে রিয়েলাইজ করতে সক্ষম হইনা [যদি সেইসকল মিথস্ক্রিয়ার মানচিত্র ও ক্রিয়া-কলাপ আমরা সহজাতভাবেই সুনির্দিষ্ট করতে পারতাম তবে আমাদের প্রত্যাহিক জীবন আরও সহজ ও সুগঠিত হতো বটে তবে অজানা অনিশ্চয়তায় সৃষ্ট বিবিধ সৌন্দর্য হয়তো হারাতে হতো]; যেমন Magic অর্থাৎ জাদু সম্পর্কে যদিও আমরা জানি [সচেতন মন বা কনশিয়াস মাইন্ডে] সেইসব লুকায়িত কৌশল (Trick) এর ভোজবাজি মাত্র তবুও কুহক-মায়া কি ইন্দ্রাজালের মোহিনী শক্তি [এখানে মোহিনী শক্তি বলতে মোহ বা আসক্তির ফলে জন্মানো অস্পষ্টতায় রহস্যময়তার প্রতি অবচেতন কি অচেতন আবেগ ও অনুভূতিকে বোঝানো হয়েছে মাত্র] আমাদের অভ্যন্তরীন সত্তা [সাব-কনশিয়াস মাইন্ড] -কে সম্মোহিত করতে সক্ষম; এখানে শুধুই মনের দোষ দিয়েই দায় এড়ানো চলে না বরং কাটখোট্টা বায়োলজির ফিজিক্যাল দায়িত্ব বন্টনে নিউরনের আধার হতে নির্দেশিত জৈব-রাসায়নিক রসালো তরল হরমোনের নিঃসারিত যে ব্যাপন তাতেও অভ্যন্তরীন শরীর যন্ত্র নিতান্তই অবুঝ নয়তো চরমভাবে নির্লিপ্ত - আর হয়তো অনুসক্ত অবুঝ বলেই বৈচিত্রতায় এতো সৌন্দর্য [রূপকভাবে উদ্ধৃত]!

উপলব্ধি

চলুন বিষয়টা সহজভাবে উপলব্ধির চেষ্টা করি....

প্লাসিবো ইফেক্টের ক্ষেত্রে আমাদের মনের জোর বা মনের শক্তি যেরূপ প্রেক্ষাপটে "একটি সুন্দর সুগঠিত মিথ্যা" দ্বারা যে ছলনার উদ্ভব করে তাতে অবুঝ মস্তিষ্ক "বিশ্বাস" দ্বারা প্রভাবিত হয়েই হয়তো হরমোনের নির্দেশনায় ফিজিক্যালি প্রভূত (অদ্ভুত) পরিবর্তন সাধন করে আবার নিতান্তপক্ষে উল্টে পাল্টে যাওয়া জীবন চিত্র নিমিষেই বদলে যায় কয়েক মিনিটের মমতাময়ী সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে। উদাহরণ আর দৃষ্টান্ত এখানে ক্ষান্ত নয় - নিদারুণ নোংরা অগোছালো ছেলেটার জীবন অত্যাশ্চর্য সুন্দর নিয়মানুবর্তী হয়ে উঠে কোন এক মানবীর পরম প্রেমে; আলসেমির আদুরে আবেগী মেয়েটি দারুণভাবে সংসারী হয়ে উঠে বিয়ে নামক অদৃশ্য সাইকোলজির বন্ধনে; আপাতভাবে লজিক্যালি অসম্ভব অনেক কিছুই তো প্রতিনিয়ত সম্ভব হচ্ছে আমাদের এই Mind তথা Brain এর অদ্ভুত অপরূপ শক্তিতে!!!

হ্যা....Mind Magic বলতে আমরা এগুলোই আইডিয়েন্টিফাই করতে পারি সেখানে ঝাড়-ফুঁক, মন্ত্র-তন্ত্র, তাবিজ-কবচ, মাদুলী-পাথর প্রভৃতি ঐশ্বরিক-দৈবতার দয়া বা দোহায় দেবার দরকার হয় না [বস্তুত ঝাড়-ফুঁক, মন্ত্র-তন্ত্র, তাবিজ-কবচ, মাদুলী-পাথর প্রভৃতি ঐশ্বরিকতা-দৈবতার মূলকথা তথা Root ঐ একই পূর্বোক্ত মনোবিজ্ঞান এর  মনস্ত্বাত্বিক Fact মাত্র]!

আমরা যদি এই Magic Mind বিষয়টিকে বাস্তব জীবনে স্বার্থকভাবে ইউটিলাইজ করতে চাই তবে আমাদের "বিশ্বাস" তথা "আত্ন-বিশ্বাস" এর চূড়ান্ত ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হবে - যা কিনা আমাদের সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের আয়ত্তাধীন; Meditaive Self Hypnosis এর মাধ্যমে আমরা বিষয়টি যথাসম্ভব Ensure করতে পারি...

ক্রিয়া-কর্ম পদ্ধতি

সর্বপ্রথম মধ্যরাত বা শেষরাতে অন্ধকার আবদ্ধ একটি কক্ষে [এমন পরিবেশ সাজেস্ট করার কারণ হলো গভীর রাতের নিঝুম - নিস্তব্ধতায় বিশেষ সাইকোলজিক্যাল Circumstantial Ignition লাভ করা] একাকী একটি Black Candle হাতে আয়নার সম্মুখে ফিজিক্যালি নির্ভার হয়ে সম্মুখে হালকা ঝুকে দাড়ান >>> এখন আপনার প্রতিবিম্ব'কে লক্ষ্য করে আপনার উদ্দেশ্য বা হেতু অনুযায়ী কামান্ড প্রদান করুন [উল্লেখিত এনভায়রনমেন্টে আপনার প্রতিবিম্ব মূলত আপনারই সাব-কনশিয়াস মাইন্ড এর প্রতিনিধিত্ব করছে] >>> আপনার সাইকোলজিক্যাল কামান্ড হতে হবে পূর্ণ নিষ্ঠার সহিত আত্মবিশ্বাসী হয়ে [আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ নিবেদিত মানসিকতায় পরমভাবে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে - এক্ষেত্রে সচেতনভাবেই অবচেতন মনের বন্ধ দুয়ার খুলতে লজিক অপেক্ষা আবেগ ও অনুভূতি'কে এর প্রাইম প্রায়োরিটি প্রদান করা বাঞ্ছনীয়] প্রারম্ভিকতায় অনুরোধবাচক এবং অনুশীলন স্বাপেক্ষে ক্রমান্বয়ে আদেশ বা নির্দেশসূচক [উদাহরণস্বরূপ বিবেচনা করা হলো আপনি একটি বিশেষ কর্মে সফলতা লাভ করতে চাইছেন - সেক্ষেত্রে এমনভাবে কমান্ড দিতে পারেন "হে...আমার সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের প্রতিনিধিরূপ প্রতিবিম্ব আমি তোমাকে অনুরোধ করছি আমার অমুক কর্মে তুমি আমাকে সফল করো; আমার পূর্ণ মানসিক শক্তি নিয়োগে শতভাগ সাইকোলজিক্যাল স্ট্যামিনায় আমাকে সফলতা লাভের পথে প্রতিনিয়ত পরিচালিত করো"] >>> সাইকোলজিক্যাল কমান্ড প্রদান শেষে মোমবাতি নিভিয়ে ঐ অন্ধকারেই কারোর সহিত বাক্য বিনিময় কিংবা কোনরূপ আলোক আবলোকন ব্যতীরেকে ভিন্ন কোন ক্রিয়া-কলাপে নিযুক্ত না হয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন [যথাসম্ভব প্রদত্ত সাইকোলজিক্যাল কমান্ড আপনার মস্তিষ্কে নিগূঢ়ভাবে গেঁথে দেওয়ার নিমিত্ত] >>> সবিশেষ এই প্রক্রিয়া নিয়ত চলমান রেখে এমন আস্থাশীল Thinking হতে হবে যেন এই Meditaive Self Hypnosis আপনার প্রত্যাহিক জীবনে Positive Effect বয়ে আনছে তবেই আপনি স্বার্থক-সফলভাবে Efficiency গেইন [উপলব্ধি] করতে পারবেন বলে আশা করা যায় [এমন সতর্কমূলক নির্দেশনার হেতু যদি আপনি আশাহত হয়ে অবিশ্বাসী হউন তবে বস্তুত আপনি আপনার নিজের আপন অবচেতন মন'কেই সন্দিগ্ধতায় অস্বীকার করছেন - যা আপনার পরবর্তী জীবনে হয়তো ভারসাম্যহীনতায় নেগেটিভিটির কারণ হতে পারে]।

সতর্কীকরণ

বিঃদ্রঃ যদি আপনার প্রথমেই উপরোল্লিখিত Task এর প্রতি কোনরূপ সংশয় কাজ করে তবে বিষয়টি কখনোই অনুশীলন না করার জন্য বিশেষভাবে উপদেশ দেওয়া হলো কেননা যদিওবা আপেক্ষিকভাবে Logic সর্বদাই সত্য তথাপি মনস্ত্বাত্বিক মিথস্ক্রিয়ায় Convincing Sense অপেক্ষাকৃত অধিক প্রগাঢ় প্রভাবক বটে। এটাও জেনে রাখা উত্তম যে যদি উপরোক্ত Task প্রতিপালনে কোনরূপ ভয় কাজ করে কিংবা ব্যক্তিবিশেষ মানসিকতার ভিন্নতায় প্রাথমিক দিকেই প্রত্যাহিক জীবনে কোন বিরূপতা পরিলক্ষিত হয় তবে অবশ্যই উল্লেখিত Task হতে নিজেকে প্রত্যাহার করুন যতোক্ষন না অবধি অবিচল-আস্থাশীল নির্ভীক এবং পজেটিভ মানসিকতা লাভ করছেন]

Neuro Relief এর মাধ্যমে যাবতীয় মানসিক অশান্তি হতে স্থায়ীভাবে মুক্তিলাভ করুন!

সাধারণত জীবন চলার পথে হাসি-কান্না আর সুখ-দুঃখ নিয়েই আমাদের এই সময় পরিক্রমা; তবুও হয়তো মাঝে মধ্যে আমাদের মনে হয় "ইস আমি যদি এমন দুঃসহ পরিস্থিতিতে বেঁচে না থাকতাম তাহলে হয়তো এমন অসহ্যকর কষ্ট-গ্লানি হতে মুক্তি পেতাম" তাইতো মানসিক আঘাত কি কষ্ট-ক্লেশ, দুঃখ-যন্ত্রণা অথবা ডিপ্রেশন-ফ্রাস্ট্রেশন প্রভৃতি সাইকোলজিক্যাল নেগেটিভ ইনআরশিয়াতে অনেকেই আত্ম-হননের পথ বেছে নেয় বা বেছে নিতে বাধ্য হয়! মিথ-মিথ্যা কিংবা কল্পনা-ধারণা অথবা ধর্ম-বিশ্বাস ইত্যাদিতে এই "আত্ম-নিঃশেষ" হওয়া'কে ঘৃণিত দৃষ্টিভঙ্গি'তে দেখা হয়; যদিচ বিষয়টি মোটেই এমন হওয়া উচিত নয় [আত্ম-হনন সামাজিক এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অবশ্যই পরিত্যাজ্য তবে এটার সহিত মিথ্যা রঙ্গরস মিলিয়ে কাল্পনিকতায় অযৌক্তিক ভীতিকর উপস্থাপনা মোটেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না; অন্তত যতোক্ষন না অবধি কোন স্পষ্ট এভিডিয়েন্স বা স্বচ্ছ প্রমাণিত সত্য আবিষ্কার হচ্ছে]। মানব জীবনে একবার মৃত্যুর পর আর সেটাকে Undo করা যায়না তাই মৃত্যু কখনোই উপভোগ্য হতে পারে না বরং ভুক্তভোগী হতে হয় মাত্র [এক্সপেরিমেন্টের উদ্দ্যেশে মৃত্যু'কে পরমভাবে এক্সপেরিয়েন্স করা অদ্যবধি আপাতত অসম্ভব প্রায়- তবে অধিকাংশ বাস্তব পর্যবেক্ষণ হতে এই Hypothesis গৃহীত হতে পারে যে "মৃত্যুর সময় মানব মস্তিষ্ক এতোটাই অস্থিতিশীল থাকে যেন তাতে চূড়ান্ত মৃত্যুর অনুভূতি কিংবা দর্শন দর্শানো সম্ভব হয়না"]! অপরাপর মৃত্যু'ই যদি সকল পার্থিব সমস্যার সঠিক সমাধান হয়ে থাকে তবে সেটা তো Relief; যা একমাত্র জীবিত অবস্থায় স্বস্তি লাভের ঐ পরম অনুভূতি রিয়েলাইজেশন করা সম্ভবপর [যেহেতু মৃত্যুর পর হিউম্যান ব্রেইনের সেন্স ক্রিয়াশীল থাকে না]। অতএব আপাত অবধারিত মৃত্যুকে হিউম্যান ব্রেইন [রূপকভাবে Neuron] যতোদিন না অবধি জয় করতে পারছে ততোদিন আত্ন-হননের চেয়ে Neuro Relief-ই হতে পারে সর্বোৎকৃষ্ট শ্রেয়তর পন্থা! সাধারণত মৃত্যু হলো মূলত ব্রেইন ডেথ (মস্তিষ্কের ক্রিয়া-কলাপ বন্ধ হওয়া) সেখানে হৃদপিন্ডের ব্লাড পাম্পিং বন্ধ হওয়ায় একমাত্র মুখ্য ফ্যাক্ট নয় [ক্লিনিকাল ডেথ হলে সেটাকে মৃত্যু ধরে নেওয়ার কারন হলো হার্টের ব্লাড পাম্পিং বন্ধ থাকলে অল্প কিছুক্ষনের ভেতরেই অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কর্টেক্সের কোষগুলো মারা যায় ফলে Neuron সমূহের কানেকশন বিছিন্ন হয়ে যায় - তথা মৃত্যু ঘটে; যদিও ক্লিনিক্যাল ডেথ হওয়ার পরও মৃত্যু থেকে রিটার্ন করার নজির বিদ্যমান তথাপি ব্রেইন ডেথ হলে কখনোই রিটার্ন করা সম্ভব হয়না] - সুতরাং পরম মৃত্যু হলো ব্রেইন ডেথ প্রক্রিয়া! প্রথাগত ধ্যান-ধারণাতে মৃত্যু যদিও আমাদের নিকট এক অজানা রহস্যময় অযাচিত বাস্তব সত্যতা তবুও মৃত্যুর কষ্ট ভেবেই আমরা সহজাত সচরাচর সেটাকে অবচেতনে ভুলে থাকার চেষ্টা করি - যদি মৃত্যু সহজ এবং কষ্টহীন হতো তবে সেটা অবশ্যই আপেক্ষিকভাবে সুমধুর হতো নিশ্চয়ই [রূপক] - Neuro Relief আপনাকে তেমনি এক পরম অনুভূতি প্রদান করবে যেখানে মৃত্যুর ন্যায় কষ্ট নেই অথচ মুক্তির সাম্যক সুখকর অনুভূতি বিদ্যমান! আমরা পূর্বেই জেনেছি যে প্রকৃত মৃত্যু হলো মূলত "ব্রেইন ডেথ" তাই জীবিত থেকে আপন ব্রেইনকে আপাত Inactive করার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায় হলো ঘুম তথা Sleep [বিষয়টা খুব ফানি মনে হলেও এটাই পরম সত্য কেননা (১) পুরোপুরি ব্রেইনকে নিষ্ক্রিয় করে সেটা পুনরায় সতেজ সক্রিয় করা অদ্যবধি সম্ভব নয় (২) বিভিন্ন ট্রিক কিংবা ঔষধ বা ক্যামিকেল ব্যবহার করে অচেতন হওয়া ক্ষতিকর এমনকি প্রাণঘাতী হতে পারে (৩) ঘুম হলো সকল মানুষের জন্যই এক স্বাভাবিক বায়োলজিক্যাল প্রসেস; যেখানে কনশিয়াস মাইন্ডের অচেতনতায় সাব-কনশিয়াস ও আনকনশিয়াস মাইন্ডের এক্টিভিটি আমাদের ব্রেইনে বিদ্যমান থাকে] - তবে মৃত্যু ধারণাতে যেমন "মরণ হলো সকল চিন্তা-ভাবনার পরিসমাপ্তিতে মুক্তি লাভ" এমনটা হয়তো আমাদের প্রত্যাহিক Non Organized ঘুমের মাধ্যমে গেইন করা সম্ভব হয়না; তাই Neuro Relief আপনাকে এমনি সুন্দর সুগঠিত এক Meditaive & Hypnotic Sleep এর সন্ধান বাতলে দিবে.... সর্বাগ্রে আপনার প্রত্যাহিক জীবনের আদর্শ ডায়েট চার্টের বাইরে অতিরিক্ত খাবার, ফ্যাটি ফুড, চিনি জাতীয় খাদ্য, উত্তেজক পানীয় বা যেকোন উদ্দীপক ক্যামিকেল (যেমন ড্রাগ ইত্যাদি) প্রভৃতি সুস্থতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন বিষয়গুলো পরিহার করুন >>> ঘুমাতে যাবার আগে আয়েশী ফিজিক্যাল স্টেইজ হতে ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে যথাপোযুক্ত ক্লান্তি নিয়ে আসুন [ঘুমাতে যাবার আগে ঐদিন প্রভাতে কিংবা নূন্যতম ৪ ঘন্টা আগে ব্যায়াম করতে পারেন] >>> এখন বিছানাতে শুয়ে যথাসম্ভব ফিজিক্যালি নির্ভার হয়ে আপনার আপন ব্রেইনকে শান্ত ও ধীর-স্থির করুন >>> এবার Meditaive Mood-এ আত্ম-বিশ্বাসের সহিত আপনার মন'কে এমনভাবে Self Hypnotic Command প্রদান করুন "আমি ঘুমাতে চাই...আমি আজ নিঃশ্চিন্তে ঘুমাবো...আমার একটি সুন্দর এবং ফ্রেশ ঘুম হবে....এমন ঘুম যেন প্রশান্তিতে আমার মন জুড়িয়ে যাবে...আমার ঘুমের মাঝে আমি যেন আমার অমুক [যেটা নিয়ে আপনি টেনশন ফিল করছেন বা সমাধান চাচ্ছেন - সেই বিষয়ে সংক্ষেপে সারমর্ম বা শিরোনাম উদ্ধৃত করুন] সমস্যার সমাধান খুঁজে পাই....ঐ স্বপ্ন যেন আমাকে এমনভাবে অনুপ্রাণিত করে যাতে আমি বাস্তব জীবনে সমস্যা সমাধানে সঠিক দিক-নির্দেশনায় সফলতা লাভ করতে সক্ষম হই" >>> এখন দুই চোখ বন্ধ করে অন্ধকার অথবা অবছা আলো-আধার আবহে বাতাস প্রবাহিত হতে পারবে এমন খোলামেলা পরিবেশে একটি উন্নত সাউন্ড কোয়ালিটির ইয়ারফোন/ইয়ারবাড ব্যবহার করে যথাসম্ভব লো-ভলিউমে [এমন ভলিউম যেন শ্রবণ বিরক্তি না জাগে আবার বাহ্যিক শব্দের জন্য আপন কনসানট্রেশন নষ্ট না হয়] Relaxing Audio Music শুনতে শুনতে ঘুমানোর চেষ্টা করুন >>> এই প্রক্রিয়া পূর্ণ আত্ম-বিশ্বাস নিয়ে চলমান রাখুন [হয়তো প্রথমদিকে এমনভাবে ঘুম আসবে না অথবা বোরিং ফিল হবে কিংবা কনসানট্রেশন ধরে রাখতে পারবেন না; এমনটাও হয়তো হতে পারে যে আপনি কোনরূপ স্বপ্ন দেখবেন না অথবা সলিউশন পাবেন না কিংবা সুন্দর ঘুম না হয়ে একটু আধটু ঘুম হবে বা বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্ন স্বপ্ন দেখবেন - তবুও আপনাকে নিষ্ঠার সহিত পূর্ণভাবে আত্ম-বিশ্বাসী হয়ে প্রত্যয়ী মানসিকতায় বিবর্ধিত উদ্যম নিয়ে Task চালিয়ে যেতে হবে; তবে আপনি স্বার্থকভাবে সফলতা লাভ করতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়]। এমন Organized Sleep যদি আপনার ব্রেইন'কে মুক্তির নির্ভার অনুভূতি প্রদান করে এবং Frequency আপনার ব্রেইনে অটো পাইলট স্টেট এবং ড্রিমিং-লার্নিং ইফেক্টিভ হয় তবে সেটি আত্ম-হনন অপেক্ষা নিশ্চয়ই কমপারেটিভলি বেস্ট উপায় বটে! "ইচ্ছাকৃত মৃত্যু মানে হারার আগেই হাল ছেড়ে দিয়ে পরাজয় বরণ করা - ঐরকম মৃত্যু সমাধান নয় বরং মিথ্যা আত্ম প্রবোধ মাত্র" সুতরাং ইচ্ছাকৃত মৃত্যু সুধা পান না করে Neuro Relief আস্বাদনে সুখী জীবন গড়ে সফলতা লাভ করুন যেন "বাঁচার মতো বেঁচে থেকে নিশ্চল নিরস মৃত্যুকে জয় করতে পারেন"! 

Neuro Shock এর মাধ্যমে আপনার থমকে থাকা জীবনে গতির সঞ্চারণ ঘটান!

এমন অনেক সময়ই হয়তো আমাদের জীবনে আসে যখন "সবকিছু ঠিক থাকার পরও যেন আমাদের জীবনে কোনকিছুই আর সঠিক হয়না" অথবা "আপনি খুব বেশী সক্রিয়ভাবে প্রচেষ্টার পরও কাঙ্খিত সফলতা লাভ করতে সক্ষম হন না" কিংবা "সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও কেনকিছুই যেন ঠিক নয়" এমন বিরক্তিকর অসহ্য বিড়ম্বনা একজন ব্যক্তির সাইকোলজিক্যাল সঞ্জীবনী শক্তি হরণে তাকে জীবিত অবস্থায় মানসিক মৃত্যুর সম্মুখীন করে!

এমন সমস্যা নিরূপণ পূর্বক পূর্ণভাবে নির্মূল (সমাধান) করতে আমাদের প্রয়োজন হবে সঠিকভাবে সুনির্দিষ্ট সাইকোলজিক্যাল শক (Psychological Shock) যা NeuroShock নামে রূপকভাবে আখ্যায়িত হলো।

উপলব্ধি

আসুন বিষয়টা সহজ করে বুঝিয়ে বলা যাক...

আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন আমদের কনশিয়াস তদ্যপি ব্রেইন প্রায় অচেতন [পরম অচেতন নয় বরং সাব-কশিয়াসের কৃতিসুলভ সক্রিয়তায় বিশেষ সচেতনতা এবং আনকশিয়াসের সহজাত অচেতনতা মিলে বিশেষ অবচেতন] হয়ে পড়ে - তখন ঘুমের মাঝে কেউ যদি জোরে (তীব্রভাবে) আপনাকে ধাক্কা দিয়ে ঘুম ভাঙ্গায় তখন আপনি সজাগ - সতর্ক - সক্রিয় হয়ে উঠেন [যদিও এই হঠাৎ জাগরণে অতি তাৎক্ষনিক সাময়িক তালকানা হয়ে যাওয়াটাও অসহজাত বা অস্বাভাবিক অন্তত নয়] - এই ধাক্কা বা Shock আপনাকে বাস্তবতায় সক্রিয় করে তুলে! আবার বিশেষ ভাবনা কিংবা মোহে আবিষ্ট থেকে যখন আপনি এক নিষ্ঠ ধ্যানে কল্পবিলাসে মগ্ন থাকেন তখন হঠাৎ কারোর কথা বা শব্দ অথবা আলো কিংবা ফিজিক্যাল টাচ/প্রেসার প্রভৃতি দ্বারা আপনার চিন্তায় ছেদ পড়ে - যা আপনাকে বস্তবের উপস্থিতি জানান দেয়! এমন আরও বহু প্রকাশ্য/অপ্রকাশ্য বিষয়গুলো আমাদের জীবনে তথা ব্রেইনে জানতে/অজান্তে প্রায় প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে....

রূপকভাবে এই সম্বিত ফিরে পাওয়া ফ্যাক্ট'টিকে সাইকোলজিক্যাল শক তথা NeuroShok নামে নির্ণীত হলো!

"পথ্য ব্যবহারে পূর্বে যেমন অসুখের কারণ জানা অত্যাবশ্যক" তেমনি উপরোক্ত মানসিক বিড়ম্বনার মূল কারণ বা হেতু সন্ধান করাটাও গুরুত্বপূর্ণ বটে!

সম্ভাবত আমাদের ব্রেইনের কনশিয়াস (সচেতন) অংশ এবং সাব-কনশিয়াস (অবচেতন) অংশ [হতেই পারে আনকনশিয়াসও এই প্রক্রিয়ায় লুপ্ত থেকে সুপ্তভাবে সূক্ষ নিয়ামক] পরস্পর সমানভাবে ধ্রুবকীয় পরিমাণ সক্রিয় না থাকলেও তাদের মাঝে সঠিক ও সুস্থিত সাম্যাবস্থা বিরাজ করে - তথায় কোন মানসিক বিরূপতায় এই ফ্যাক্ট'টি [ভারসাম্য] যখন বিনষ্ট হয় তখন কনশিয়াসের অযাচিত অধিকতায় আমাদের মনে আবেগ-ইমোশন হ্রাসে আপনার কল্পনা সক্ষমতা কমে ডিপ্রেশন বা ফ্রাস্ট্রেশনে ভোগায়; আবার নিরতিশয় সাব-কনশিয়াস যখন অধিক সক্রিয়তায় সহিংস হয়ে ওঠে তখন সারাক্ষণ কল্পনার সাগরে সাতার কাটতে সময় যায় - ফলে বাস্তবতার সহিত যৌক্তিকতা এবং কল্পনার সহিত ক্রিয়েটিভ আইডিয়ার মাঝে সুতা কাটাকাটি'তে সবকিছুই ছন্নছাড়া আর অসাধ্য হয়ে যায়!

মস্তিষ্কের এই নিউরো শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রয়োজন হবে উপরোক্ত দুইটি উদহারণের রূপকভাবে ব্যাখ্যাকৃত বিষয়ের ন্যায় ধাক্কা অর্থাৎ NeuroShock; NeuroShock কোন সুনির্দিষ্ট বিষয় নয় এবং এটি ব্যক্তি বিশেষের সামগ্রিক অবস্থা, অবস্থান, প্রকৃতি, পরিবেশ, পরিস্থিতি, পারিপ্বার্শিকতা প্রভৃতির ওপর নির্ভরশীল Specified System; তবুও আসুন একটি সাধারণ সার্বজনীন NeuroShock এর সূত্র বাতলে দেয়ার চেষ্টা করি....

ক্রিয়া পদ্ধতি

সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ এবং আপেক্ষিকভাবে প্রায় সর্বক্ষেত্রে নূন্যতম হলেও রেসপন্সিভ NeuroShock হলো "আপনার দম একটি নির্দিষ্ট সময় যতোক্ষন অবধি পারেন ততোক্ষন [সতর্কতা আবশ্যক] আটকে রাখুন - এরপর হুট করে হঠাৎ প্রশ্বাস ছেড়ে দিন; এখন প্রায় সাথে সাথেই আকাঙ্ক্ষিত নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবুন "নাহ...এইতো আমি...এটাই আমার কাজ...এমনটাই তো হওয়া উচিত...এটাই করতে হবে আর এটাই করবো....সবিশেষ সফল আমি হবোই হবো" এমনি ভাবধারানুসারী...

পরিশিষ্ট

যদিচ NeuroShock বিষয়টি হতে পারে মোটিভেশন কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে ডিমোটিভেশান, আকার-ইঙ্গিত, চমক, ছলনা, দূর্ঘটনা, আঘাত, ভালোবাসা ইত্যাদি; তথাপি আপনার জন্য উপযুক্ত হয় এমনটি প্রয়োজন স্বাপেক্ষে উপরোক্ত ধারায় [চেতনায়] মোডিফাই করে নিবেন!

Mind Metaphysics এর সাইকোলজিক্যাল রূপকতায় আধ্যাত্মিকতা লাভ করুন!

★ "আমি কে?" এই প্রশ্ন দ্বারা আপনি আপনার আপন আত্ম-পরিচয় অনুসন্ধান করতে পারেন!

★ "আমি কি?" এই প্রশ্ন দ্বারা আপনি আপনার আত্ম-বিচার [আত্ম-বিশ্লেষণ] করতে পারেন!

★ "আমি কেমন?" এই প্রশ্ন দ্বারা আপনি আপনার আপন প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন!

★ "আমার জীবন কেন এমন?" এই প্রশ্ন দ্বারা আপনি আপনার সামগ্রিক জীবনের মূল (Root) সম্পর্কে ধারণা করতে পারবেন!

★ রহস্যই ভক্তি-ভালোবাসা প্রভৃতি জন্মের অন্যতম কারণ - রহস্যের জন্ম হয় কল্পনায় - কল্পনা এর সৃষ্টি মস্তিষ্কে - তাইতো মস্তিষ্ক যতোদিন আপেক্ষিকভাবে উচিত পরিমাণ রহস্যময়তায় অজানা রইবে ততোদিনই বৈশিষ্ট্যময় বিচিত্র এই ভালোবাসা পৃথিবীতে স্থিতিশীল থাকবে যদিচ ভালোবাসার রূপ,মাত্রা ইত্যাদি সময় ও পারিপ্বার্শিকতার স্বাপেক্ষে পরম ধ্রুব নয়!

★ ভয় আর ভক্তি উভয় হতেই ভালোবাসার সৃষ্টি হতে পারে - যদিচ "ভয়" এবং "ভক্তি" পরস্পর খুব একটা সাদৃশ্যপূর্ণ নয় [অনন্তর মস্তিষ্ক হতে ভালোবাসা দূরীকরণের অন্যতম উপায় হলো ভয়]!

★ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রেমময়ী ভালোবাসা সৃষ্টির কারণ হলো পরস্পর ফিজিক্যাল ও সাইকোলজিক্যাল বৈসাদৃশ্যতা - যা কিনা আপাতভাবে পরস্পর অসমতা দূরীকরণ [একে অপরকে পাওয়ার মাধ্যমে উক্ত অপূর্ণতা পূরণের আপেক্ষিক চেতনা] এর মাধ্যমে একজন অপরজন হতে চাওয়ার অতিশয় সুপ্ত মানসিক অভিলাষ পূরণের আপেক্ষিক প্রয়াস মাত্র!

★ আপনি মূলত আপনার চেহারা যেমন দেখতে অভিলাষী হউন - বস্তুত অন্যকে চেহারা দেখে পছন্দ করার ক্ষেত্রে ঐরূপ মুখাবয়ব অবচেতন অন্তরে পছন্দ করে থাকেন!

★ আপেক্ষিকভাবে আমাদের মস্তিষ্ক এক রসায়ন ল্যাবরেটরি - তাই অন্যের ব্রেইন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সাইকোলজির সহিত রসায়নের মিলনে সৃষ্ট PsychoChemistry হতে পারে সবচেয়ে কার্যকরী হাতিয়ার!

★ধ্যান হলো ধারণা তৈরীর উৎকর্ষ প্রেক্ষাপট!

★ বিশ্বাস অর্জনের অন্যতম মোক্ষম মাধ্যম হলো ধ্যান - তাইতো ধর্মে ধর্মে যতোসব উপাসনা আর আরাধনা!

★ "স্বপ্ন" মানব মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণের অন্যতম মোক্ষম উপায় - যদি স্বপ্নের প্রোগ্রামিং প্যাকেজ আপনার হাতে থাকে তবে জীবন পরিবর্তনের চাবিকাঠি পেয়ে যাবেন!

★ যখন কালো মুখোশে ফাঁসিকাঠে মৃত্যু সম্মুখ তখন ফাসির আসামীর নিকট জল্লাদ-ই সবচেয়ে নিকট আপনজন অন্তত অদূর কি সুদূরের পরম প্রিয়জন অপেক্ষা!

★ আমাদের জীবন যেন এক অনিশ্চিত অজানা ফ্রিকোয়েন্সি গ্রাফ!

★ মানব জীবনে সুখ - আনন্দ - খুশী - ভালোবাসা সবকিছুর মূল (Root) হলো ফ্রিকোয়েন্সি!

★ ব্যর্থতায় ভরা স্থির জীবনে সফলতা লাভ করতে প্রয়োজন এমন এক ধাক্কা যা আপনাকে সম্মুখে মুখ থুবড়ে হোচট না দিয়ে বরং সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে [ধাক্কা একটি বল মাত্র - সুতরাং সেই ধাক্কা আপনাকে মুখ থুবড়ে ফেলবে কি সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেটা ধাক্কার প্রকৃতির স্বাপেক্ষ নয় বরং আপনার প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল] - ঐ ধাক্কার গতি অটুট রেখে আপনাকে মোমেন্টাম তৈরী করতে হবে যা কিনা আপনার জীবনকে সুন্দর-সফলকাম করবে; অপরাপর উক্ত গতির ত্বরণ ঘটাতে সক্ষম হলে উত্তোরত্তর সফলতা লাভ করাও অসম্ভব অন্তত নয়! সুতরাং পিছন হতে দেওয়া ধাক্কা'কে আঘাত বিবেচনা না করে পজেটিভলি সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার তাড়না ভাবায় উত্তম - যদিচ ধাক্কার প্রেক্ষাপট বা পরিস্থিতি অথবা হেতু বিরূপ হয়!

★ অন্ধকারে অন্ধ কি সুস্থ উভয়ই সমান!

★ মস্তিষ্কে এক নাগারে একই ফ্রিকোয়েন্সির ঢেউতে একটি নির্দিষ্ট ফ্যাক্টের হেতু ডোপামিনের মতো সুখের হরমোন নিঃসৃত হয়না - তাইতো ভালোবাসার মাঝে রাগ-অনুরাগে স্থায়ীত্ব গাঢ় মজবুত হয়!

★ স্বপ্ন'ই সফলতার সাক্ষী সূত্র - শুধু আপেক্ষিক নয় পরমও বটে!

★ আপনার ওপর আপনার প্রিয়জনের রাগ উগলে যেতে দিন - ভালোবাসা আপনা আপনি চলে আসবে; এক অপূর্ব হরমোন নিঃসৃত ফ্রিকোয়েন্সির ন্যায় তরঙ্গ!

★ রূহ বা আত্মা সবই মনের স্বরূপ যেখানে মন হলো সাব-কনশিয়াসের যেন প্রতিবিম্ব; তথাপি বায়বীয়তা কি আয়নাতে আর কি সম্মুখে সবটাই তো অদৃশ্য!

★ সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর Mind Slashing হলো Acting তথা অভিনয় - অভিনয় মিথ্যা আর মিথ্যা'ই অভিনয়!

★ হয়তো সত্যই যে সফলতার জন্য একটা মেয়ে সঙ্গী সত্যিই প্রয়োজন!

★ বিবর্তন যদি না মানেন তবুও আপনি যে নিয়ত বিবর্ধিত হচ্ছেন সেটাকেও কি অস্বীকার করবেন?!

★ পাগলে সুখ - অর্ধপাগলে অসুখ - সুস্থতায় বৈচিত্রতা!

★ ঘুম হলো জীবন ফ্রিকোয়েন্সির ঢেউয়ের খাঁদ!

★ আপেক্ষিকভাবে স্বার্থপর কনশিয়াস হয়তো পৃথিবী ধ্বংষের মূল কারণ হবে!

★ রূপকভাবে বলতে হলে ধর্ম চেতনা এক মাইন্ড প্রোগ্রামিং প্যাকেজ মাত্র!

★ হাজার মিথ্যা একটি সত্যের সমান - রূপক ও আক্ষরিক উভয়ভাবেই সত্য!

Neuro Quest এর মাধ্যমে আপনার জীবনের অজানা সমস্যা সমাধানের সূত্র খুঁজে নিন!

এমন অনেক সময় হয়তো আমাদের জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই আসে যখন আমাদের জীবন থমকে যায়; কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় আমরা উপায়ান্তর খুঁজে পাইনা যে ঠিক কি করা উচিত? সমস্যা জর্জরিত আমাদের জীবনে সমাধানের পথ বাতলে নেওয়ার উপায়টা যেমন জানা থাকে না তেমনি এমন একটা হাত পাওয়া যায় না - যা আমাদের উঠে দাড়াতে সহায়তা করবে....

ঠিক এমন দুঃসময়ে সঙ্গী হতে পারে NeuroQuest যা আপনার "আপনি" কে এমন সব প্রশ্ন করবে যাতে আপনি সমস্যার মূল তথা Root খুঁজে পাবেন; ঐ মূল ধরেই আপনি আপনার সমাধানের শিকড় অবধি পৌছে সফলতা লাভ করতে পারেন [স্বাভাবিকভাবেই হয়তো মনে হতে পারে প্রশ্নগুলো আপনার সমস্যাটিকে হয়তো আরও জটিল করতে তুলবে তদুপরি আদতে ঐ বিশেষ সার্বজনীন Quest সমূহ আদতে সমস্যার'ই জট খুটলে সহায়তা করবে মাত্র - সহজাতগভাবে আপন Neuron তথা আপনার ব্রেইন কিন্তু ঠিকই সর্বাপেক্ষা ভালোমতো জানে যে "কি সমাধানের--কেমন করে সফলতা" লাভ করতে হয় তথায় অবুঝ সুপ্ত সাব-কনশিয়াস আর রাগী লজিক্যাল কনশিয়াসের আড়িতে যত্তোসব]!

ক্রিয়া পদ্ধতি

আসুন শুরু করা যাক....

আপনার কি কিছু হয়েছে? >>> কি হয়েছে সেটা কি আপনি নিজে জানেন? >>> আপনার যা হয়েছে সেটা কি আপনার জন্য সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা? >>> আপনার যা হয়েছে সেটা কি আপনার জন্য সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা? >>> আপনার উক্ত বিষয়টি (সমস্যা) কি আপনার নিজের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে সৃষ্ট? >>> বিষয়টি (সমস্যা) কি আপনাকে সাইকোলজিক্যালি নাকি ফিজিক্যালি (শারীরিক এবং জীবনাচরণ'গত) বিপর্যস্ত করছে? >>> বিষয়টির সলিউশন হওয়া সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন (বিশ্বাস করেন)? >>> বিষয়টির (সমস্যা) যথোপযুক্ত সলিউশান কি আপনার মন (সাব-কনশিয়াস মাইন্ড) জানে? >>> আপনার সাব-কনশিয়াস মাইন্ড হতে Emitted সলিউশান'টি আপনার আপন জীবনে ইউটিলাইজ করার পূর্ণ পরিকল্পনা কি আছে? >>> আপনার সলিউশন পরিকল্পনা কি আপনি একাকী সফল করতে পারবেন?

এখন Meditaive Mood নিয়ে আপনি উপরোক্ত প্রশ্নসমূহের উত্তর খুঁজতে প্রয়াসী হউন!

Immortal Mind এর মাধ্যমে আসুন অমরত্ব লাভ করি!

আপন প্রাণের প্রতি মায়া চিরন্তন তাইতো চিরজীবী হওয়ার সাধে অমরত্ব লাভের প্রয়াস ইতিহাসে বহু পুরাতন; তবুও অদ্যবধি মৃত্যুকে জয় করা সম্ভব হয়নি...আধুনিক বিজ্ঞান হয়তো এখনো বয়স নামক সংখ্যার পরিধী পার করে অনন্ত অসীমে পাড়ি দিতে পারিনি তবে ভবিষ্যতে একদিন সত্যিই যেন মৃত্যুঞ্জয়ী হওয়ার শখ মিটে!

আসুন আপত আপেক্ষিকভাবে অমরত্বের সুধা পানে প্রয়াসী হই...

ইতিপূর্বে আমরা Mind Download প্রোগ্রামের মাধ্যমে Mind Data তথায় Brain Data পেয়েছিলাম [উল্লেখ্য প্রয়োজনে আপনি যতোটা সম্ভব ডিটেইলস উপাত্ত ও জীবনাচরণ'গত তথ্যের জন্য প্রশ্ন সংখ্যা ও ধরণ কাস্টমাইজ করতে পারেন] তা Mind Transplantation প্রোগ্রাম দ্বারা ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় মৃত্যুর পরও ঐ মানুষটি বেঁচে রইবে ভিন্ন একজন মানুষের ব্রেইনের মাধ্যমে...

আপাতভাবে বিষয়টি হয়তো Non-Effective মনে হতে পারে তথাপি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (A.I) আর ভার্চুয়াল বাস্তবতা (V.R) প্রযুক্তির মাধ্যমে "একজন সন্তান হারা মা ফিরে পেতে পারে তার ছোট্ট আদুরে বাবুটাকে..." যেন প্রযুক্তির ছোয়ায় বাস্তব ঐশ্বরিকতায় কল্পনার কাল্পনিকতাকে হার মানিয়ে মৃত্যু বিজয় - ঐখানেও Technology ঐ Mind Data প্রোগ্রামিং সিস্টেমে যেন বাইনারি Transplantation প্রক্রিয়ার স্বরূপ তাতে Psychology এর অপরূপ Satisfaction!!!

আমাদের চিন্তা জগত!

আমাদের চিন্তা জগতের অবস্থিতির আপেক্ষিক সমীকরণ এমনটা হতে পারে (হয়তো) :

R+.....+(P+T)+P+(P-T)

এখানে P হলো আমাদের সাইকোলজি [Psychology] এবং t হলো চিন্তা তথা Thinking এবং R হলো আপাত মূল সীমানা সূত্র তথা Root!

আসুন বিষয়টা যদি আরেকটু সহজভাবে বিশ্লেষণ করতে উদাহরণ হিসেবে আমরা একটি পানির অণু H2O বিবেচনা করি - যেখানে বিবর্তনীয় ধারায় প্রবর্তিত মানুষ হয়তো একটি সময় আবিষ্কার করলো যে প্রকৃতির অনন্য যৌগ পানি এর রাসায়নিক সংকেত H2O যাতে দুটি Hydrogen পরমাণু (এককভাবে একত্রিত হাইড্রোজেন অণু) এবং একটি Oxygen পরমাণু সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বৈশিষ্ট্যময় পানির উদ্ভব হয়েছে। এখানে P সাইকোলজির মানুষ আরেকটু 

চিন্তা T যুক্তকরণে ভাবলো তবে ঐ হাইড্রোজেন বা অক্সিজেন পরমাণু'কে ভাঙ্গলে কি পাওয়া যাবে?  আরও উৎকর্ষিত জ্ঞান অর্জনে (P+T) চিন্তনে পরমাণু ভাঙ্গনে পাওয়া গেলো ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন ইত্যাদি মৌলিক কণা এরপর আরও সম্মুখ অগ্রগতিতে (P+T) চিন্তনের বুুদ্ধিমান প্রাণী তথা মানুষ আবিষ্কার করলো অস্থায়ী মৌলিক কণা, কোয়ার্ক আরও কতো কি.....এভাবেই আপাত P সর্বদাই (P+T) অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে (আদতে পিছনে) যেন মূল সূত্র R (Root) জানতে সক্ষম হয়!

একজন মানুষ যিনি মুক্তমনা অগ্রগামী তিনি সর্বদাই আপেক্ষিকভাবে সময়ের সাথে সাথে P হতে (P+T) হয় যেখানে তার পূর্বের ফেলে আসা অবস্থিতির ইতিহাস মূল (P-T); এভাবে সর্বদাই নিত্য P নতুন (P+T) হয়ে আরেক নয়া P ফেলে আসে (P-T) আরও নয়া (P+T) অর্জনের প্রয়াসে....

তবে ঐ অজানা R (Root) আরও কতোদূর?

R (Root) সত্যিই কি সীমানা সূত্র? মূল আর মূলোৎপাটন কি হয়না নাকি হতে নেই অথবা না হওয়ায় মানুষ হওয়ার (বুদ্ধিমান প্রাণী) স্বার্থকতা? যদি তা একান্তই পরমভাবে মূল বা Root হিসেবে প্রতীয়মান হয় তবে মানুষ কি তখন তার চিন্তা T থামিয়ে দিবে? যদি সেই চিন্তা থেমে T=0 হয় তবে মানুষ কি ধ্বংষ হবে নাকি তখন নিজেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে রিয়েলাইজ করবে সেই প্রাকৃতিক বিবর্তনে প্রকৃতির ঈশ্বর?! তবে T শূন্যতায় বুঝি ঈশ্বরের বৈশিষ্ট্য [যেমনটা আগেকার দিনে যখনই কোন রহস্যের মূল অজানা থাকতো তখনই মানব মস্তিষ্কে উদ্ভাবিত ভাবনা "তাহলে হয়তো উহার শক্তির মূল এক ঈশ্বর....আরকি"]?! অপরাপর P হতে (P+T) অগ্রসর হতে আমাদের ভেতর কি সেই তাড়না কাজ করে? ঐ তাড়না এর স্বরূপ কি বা কেমন?! উহার বাহ্যিক ধরণ হয়তো " কি - কেন - কিভাবে" এই তিন প্রশ্নের সমন্বয় তবে উহা আমাদের কোন R (Root) এর দিকে ধাবিত করছে আর সেটা সত্যিই কতোটা উপযুক্ত হচ্ছে যদিচ উপযোগী তা নিতান্তপক্ষে প্রামণিত - আর ঐ R (Root) এ কি সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশান নিহিত আছে?!

প্রশ্নগুলো দার্শনিক হতে পারে - তবে নয়া দর্শনে যদি ভাবনার বিস্তরণে Logic এর আবিষ্কার কি আবির্ভাব হয় তবেই হয়তো স্বার্থকতা যা Root এর দিকে হাঁটি হাটি পায়ে পড়তে পড়তেও একটুও হলেও এগিয়ে নিয়ে যায় যদি........!

উপসংহার 

মনোবিজ্ঞান বিজ্ঞানের এমন একটি বিষয় মানুষের মনের গতি প্রকৃতি, আচরণ, বৈচিত্র্যতা প্রভৃতি সাম্যক বিষয়ের আলোচনা করে - যা সঠিকভাবে শিক্ষার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনে সফলকাম হতে সক্ষম হবেন; তাইতো বলা যায় মনোবিজ্ঞান শিখে হয়ে উঠুন সুপার হিউম্যান! 

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেল'টিতে PaGoaL এর স্বীয় চিন্তন চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

PaGoaL এর আরও আর্টিকেল পড়ার নিমন্ত্রণ রইলো

• ভূত কি সত্যিই আছে? ভূত তাড়ানোর সাইকোলজিক্যাল মন্ত্র!

• ইনট্রোভার্ট কি? ইনট্রোভার্সির বৈশিষ্ট্য এবং সমাধান!

• দুরারোগ্য রোগে Zero Therapy নিন - সুখীভাবে বাঁচুন!

• নেশা কি? নেশা করলে কি হয়? নেশা করে কি মজা পায়? নেশার পরণতি এবং নেশা হতে নিজেকে বাঁচানোর উপায় কি?

• নেশার অল্টারনেটিভ : নেশা হতে মুক্তি লাভ!

• মোবাইল ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম : মোবাইল ব্যবহারের রুটিন তৈরী করুন এবং মোবাইল আসক্তি হতে মুক্তিলাভ করুন!

• শুভকামনা : শুভকামনায় সত্যিই কি শুভ হয় নাকি কুসংস্কার?!

• ফেসবুকে কে কে আপনার প্রোফাইল দেখলো? আপনার ফেসবুুক প্রোফাইলে ক্যামেরা লাগান!


আপনার সুন্দর জীবনের তরে নিরন্তর শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

#Query_Keyword: Analysis / Discover,মনোবিজ্ঞান

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)