৬ দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন

PaGoal
By -
0

 


৬ দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন 

ভিসা ছাড়া চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন ৬ রাষ্ট্রের নাগরিকরা মহামারি পরবর্তী পর্যটনকে উৎসাহিত করতে ও পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন আর মালয়েশিয়ার নাগরিকদের বিনা ভিসায় ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছে চীন।


৬ দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন






 দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একথা জানিয়েছে। ‍খবর রয়টার্সের। চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত উল্লিখিত রাষ্ট্রের জনগণরা ১৫ দিনের জন্য ব্যবসা, পর্যটন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের সাথে দেখা করতে চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।

 শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ বচন বলেছেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ‘চীনে উচ্চ-মানের উন্নয়ন সাধন আর উন্মুক্ততার পথে আধুনিক এই ভিসা নীতি সহায়ক হবে।’ চীনের বন্ধ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পথে এ এক আধুনিক ভিসা-মুক্ত নীতি।

 চীন যে আন্তর্জাতিকভাবে এই দেশগুলোর সাথে আদান-প্রদান আর পারস্পরিক বোঝাপড়ায় আগ্রহ তৈরি করতে চায়, সে অভিপ্রায়ই পূর্বে আসছে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে। কোভিড, মানবাধিকার, তাইওয়ান ও বাণিজ্যসহ বিচিত্র ইস্যুতে প্রচুর পশ্চিমা রাষ্ট্রের সাথে সংঘর্ষের পরে সরকার বিশ্বজুড়ে তার ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে।


 সাম্প্রতিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২৪টি রাষ্ট্রে চীন বিষয়ে খারাপ মতামত জানিয়েছে। ৬৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্করা এবিষয়ে প্রতিকূল মতামত দিয়েছে। উত্তরদাতাদের অর্ধেকের প্রচুর বলেছেন, চীন ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্রের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে ও অন্যদের স্বার্থ বিবেচনা করে না। চলতি মাসে নরওয়ের নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চীন তার ভিসা-মুক্ত ট্রানজিট নীতি ৫৪টি রাষ্ট্রে প্রসারিত করেছে।


 বর্তমানে চীনে যেতে চাইলে বেশির ভাগ মানুষেরই দেশটিতে ঢোকার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে এক্ষেত্রে যাদের ছাড়ের বিরল উদাহরণ রয়েছে তারা হচ্ছেন, সিঙ্গাপুর ও ব্রুনাইয়ের নাগরিকরা। এই দুই রাষ্ট্রের জনগণরা ১৫ দিনের জন্য ব্যবসার কাজ, পর্যটন, পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ আর ট্রানজিটের জন্য চীনে ঢুকতে পারেন। দেশের মধ্যে ও বাইরে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটগুলো মধ্যবর্তী নেটওয়ার্কের পরিষেবার চেয়ে ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করার সময় যাচাই করা হয়েছে।


 চীনের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ অক্টোবরে বলেছিল, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৬৮০টি সাপ্তাহিক ফ্লাইট প্রত্যাশিত ছিল, চার বছর পূর্বে যাত্রীবাহী ফ্লাইট মোটের ৭১ শতাংশে পৌঁছানোর আশা করা হয়েছিল। চীনের ইউরোপীয় চেম্বার অব কমার্সও বলেছে যে এই পদক্ষেপটি ব্যবসায়িক আস্থা বাড়াতে সহায়তা করবে। এটি ইতিবাচক যে কর্তৃপক্ষ জনগণের মধ্যে আদান প্রদানের সুবিধার্থে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)